× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২১ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার

ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত প্রখ্যাত কাহিনীকার, চিত্রনাট্য রচয়িতা, চলচ্চিত্র ও নাট্য পরিচালক এবং অভিনেতা আমজাদ হোসেনের উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল। তিনি বলেন, একটু আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বের হলাম। বাবার উন্নত চিকিৎসা নিয়ে আমাদের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণমাধ্যমে বাবার অসুস্থতার সংবাদ জানার পর তিনি আমাদের ডেকেছিলেন। বাবার চিকিৎসার সব দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। উনার নির্দেশনা মতে, বাবাকে প্রয়োজন হলে এখন দেশের বাইরে নেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে দোদুলের সঙ্গে ছোট ছেলে অভিনেতা-নির্মাতা সোহেল আরমান ও পরিচালক এসএ হক অলীক উপস্থিত ছিলেন। তারাও প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে নিজ বাসায় আমজাদ হোসেনের ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপর তাকে দ্রুত রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসক শহীদুল্লাহ সবুজের তত্ত্বাবধানে আছেন। সোমবার মেডিকেল বোর্ড গঠন করার পর চিকিৎসকরা জানান, তার শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হয়েছে। আমজাদ হোসেনকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তিনি এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন। ১৯৪২ সালের ১৪ই আগস্ট জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন আমজাদ হোসেন। ৭৬ বছর বয়সী এই গুণীজন সব্যসাচী এক চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গল্পকার, নাট্যনির্মাতা, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক হিসেবে সফলতা পেয়েছেন তিনি। আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘আগুন নিয়ে খেলা’ (১৯৬৭)। পরে তিনি ‘নয়নমনি’ (১৯৭৬), ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৮), ‘ভাত দে’ (১৯৮৪) ছবিগুলো দিয়ে প্রশংসিত হন। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর