দিল্লিতে বায়ুদূষণ কমানোর সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এবার সেখানে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী মহেশ শর্মা জানিয়েছেন, দূষণের মাত্রা কমাতে পরবর্তী ধাপ হিসেবে কৃত্রিম বৃষ্টি বর্ষণ করা হতে পারে। এ মাসের শুরু থেকেই দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি-নিউজ। নভেম্বরের প্রথম তিন সপ্তাহে দিল্লির বায়ু খারাপ, খুব খারাপ এবং ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রায় প্রবাহিত হয়েছে। সম্প্রতি দিওয়ালির উদযাপনের পরে বায়ুতে বিষাক্ততার মাত্রা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে শহরের মধ্যে ট্রাক চলাচল ও নির্মাণকাজ কয়েক দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমানে জরুরি পণ্যবহনকারী ট্রাক ছাড়া অন্য কোনো মালবাহী গাড়ি শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এসব নিষেধাজ্ঞা কোনো বাস্তব সমাধান নয়। বরং গাড়ির নম্বর অনুযায়ী রাস্তায় গাড়ি বের করার যে নিয়ম চালু করা হয়েছিল, সেটি ফিরিয়ে আনা অথবা রাস্তা থেকে ডিজেল চালিত গাড়ি তুলে নিতে পরামর্শ দেন আদালত। তবে কর্তৃপক্ষ এবার বায়ুদূষণ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের কথা বিবেচনা করছে। মন্ত্রী মহেশ শর্মা বলেন, যদি বায়ু-দূষণের মাত্রা আরো খারাপ হয়, তাহলে ক্লাউড সিডিংয়ের কথা চিন্তা করা যেতে পারে। এতে করে কৃত্রিমভাব বৃষ্টিপাত হবে। দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে এটি গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে ক্লাউড সিডিং ঠিক কতখানি সাহায্য করতে পারবে সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, দিল্লি ও সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর শিশু, বয়স্ক এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যাজনিত মানুষরা বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দূষিত বায়ুর কারণে দিল্লির বাসিন্দাদের ১০ বছর আয়ুষ্কাল কমে গেছে। আর জরুরি পদক্ষেপ না নিলে তীব্র শারীরিক ক্ষতির সতর্কতা দিচ্ছেন চিকিৎসক এবং পরিবেশবিদরা।