আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে সংবাদপত্র সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ। পাশাপাশি সরকারের তিন মন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই আইন সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর ডেইলি স্টার সেন্টারে সম্পাদক পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকারের তিন মন্ত্রী সম্পাদকদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে, আলোচনার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়নি। কিন্তু সে অনুযায়ী পরবর্তীতে কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় ও ১০ম সংসদের সর্বশেষ অধিবেশনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় সম্পাদক পরিষদ হতাশ।
পরিষদ বলেছে, প্রয়োগের বিধিমালা তৈরির আগেই গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে সম্পাদকরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ ছাড়া, সাংবাদিক ও সম্পাদকদের হয়রানি করতে ও তাদেরকে পেশাগত দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে মানহানি মামলার ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে পরিষদ গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, আইনে পরিষ্কার উল্লেখ রয়েছে যে, শুধুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি মানহানির মামলা দায়ের করতে পারবেন।
কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তের আওতায় পড়েন না এমন ব্যক্তিরাও মানহানির মামলা দায়ের করছেন। আদালত এগুলো গ্রহণও করছে। এ বিষয়ে পরিষদের পক্ষ থেকে বিচারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা এ ধরনের আইন লঙ্ঘন অবিলম্বে বন্ধ ও মানহানির মামলায় আইনের ধারা যথাযথভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন- নিউজ টুডে’র সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, নিউএজ সম্পাদক নূরুল কবীর, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দীন, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, করতোয়া সম্পাদক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট সম্পাদক এম শামসুর রহমান, যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শহিদুজ্জামান খান ও সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি।