চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। র্যাম্প, টিভি বিজ্ঞাপন ও নাটকে অভিনয় করার কিছুদিন পরই বড়পর্দায় কাজের সুযোগ আসে তার। ২০১০ সালে নির্মাতা খিজির হায়াত খানের ‘জাগো’ ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় কাজ শুরু করেন শুভ। এ পর্যন্ত বেশকিছু ছবি মুক্তি পেয়েছে তার। বিশেষ করে তার অভিনীত ‘অগ্নি’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’ নামের ছবিগুলো বেশ ব্যবসাসফলতা পায়। এরইমধ্যে দেশ-বিদেশে ভক্তও তৈরি হয়েছে তার। বর্তমানে শুধু ঢাকার ছবিতে না. ওপার বাংলা থেকেও কাজ করার ডাক পাচ্ছেন এই চিত্রনায়ক। তবে বুঝেশুনে পা ফেলছেন তিনি।
দেশে কাজ করার পাশাপাশি কলকাতার ‘আহারে’ নামে নতুন একটি ছবির কাজ সম্প্রতি শেষ করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে শুভ বলেন, রঞ্জন ঘোষের পরিচালনায় এ ছবিতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। নতুন বছরে ছবিটি মুক্তি পাবে। আর ঢাকায় বর্তমানে নির্মাতা গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘সাপলুডু’ ছবিতে অভিনয় করছেন শুভ। এ ছবিতে তার বিপরীতে বিদ্যা সিনহা মিম অভিনয় করছেন। বর্তমান সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ও এই ছবি প্রসঙ্গে আরিফিন শুভ বলেন, ‘সাপলুডু’ ছবিটি দর্শকরা পছন্দ করবেন, এমনই একটি গল্প এটি। লুডু খেলায় যেমন অনেক চাল দেবার হিসেব থাকে, উঠানামা থাকে-ঠিক তেমনি এ ছবির কাহিনীতেও রয়েছে। যা দর্শকদের ভালো লাগবে। এর বেশি কিছু বলতে চাই না এখন। দক্ষ অভিনয়শিল্পীরা এ ছবিতে কাজ করছেন। এই তো একটু আগে জাহিদ হাসান ভাইয়ের সঙ্গে একটি চমৎকার দৃশ্যে কাজ করলাম। দারুণ একজন অভিনেতা তিনি। কাজ করে আমার বেশ ভালো লাগছে। আর চলচ্চিত্রে বর্তমান সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না। শুভ এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, অনেক আগেই আমি বলেছিলাম যে, আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তা শুধু নয়, দেয়াল ভেঙ্গে বসে আছি আমরা। বলতে গেলে এক কথায়, অস্তিত্ব সংকটে আছি আমরা। অনেক শিল্পী সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন যে দেশ ছেড়ে বাইরে চলে যাবেন। শুভ এসব বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আরো বলেন, প্রত্যেক শিল্পীর কিন্তু জীবন আছে, সংসার আছে, দায়িত্ব আছে। তাই বর্তমানে এই সংকট নিরসনে এফডিসির সংস্কার এবং জেলা শহরগুলোতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মাল্টিপ্লেক্স খুবই জরুরী হয়ে ওঠেছে। উদাহরণ দিয়ে বলতে চাই, যদি জেলা শহরে ১০০ আসন নিয়ে ছোট পরিসরে মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণ হয় তাহলেও একই সঙ্গে দুটি থিয়েটারে ভিন্ন স্বাদের দুটি ছবি দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন। ধরা যাক, কুমিল্লা বা ময়মনসিংহে একটি থিয়েটারে হলিউড ছবি ‘ভেনম’ চলছে, অন্যদিকে আরেকটিতে ‘দেবী’ চলছে। তাহলে দর্শক অপশন হিসেবে একবার ‘ভেনম’ দেখে বা ‘দেবী’ দেখে ভালো লাগলে পরের সপ্তাহে অন্য ছবিটি পরিবারসহ দেখতে আসবেন। দেখার প্র্যাকটিসটা তৈরি করে দিতে হবে আমাদের। সরকার এটি করে দিলে পরে ব্যবসায়িক বা প্রাইভেট অর্গানাইজেশনও একটা সময় মাল্টিপ্লেক্স নির্মাণে এগিয়ে আসবে। তখন একদিকে যেমন প্রচুর প্রোডাকশন হবে অন্যদিকে ভালো গল্পের, ভালো বাজেটের কাজও বাড়বে। ‘সাপলুডু’ ছবির কাজ শেষ করে নির্মাতা নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল ‘জ্যাম’ ছবির কাজ শুরু করবেন বলে জানান শুভ। তিনি বলেন, বর্তমানে ‘সাপলুডু’ ছবির টানা কাজ চলছে। এ ছবির কাজ শেষ করে কোনো অবসর নেওয়ার সময় নেই। এরপরই ‘জ্যাম’ ছবির কাজ শুরু করব। আশা করছি, ভিন্ন গল্পের এ ছবিটিও দর্শকরা পছন্দ করবেন।