একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়তে চান সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও জেলা আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ। তিনি ইতিমধ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরম তুলে জমাও দিয়েছেন। তিনি গত কয়েক বছর ধরে দুটি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। সাড়াও পাচ্ছেন ইতিবাচক। পুলিশি হয়রানির পরও কৌশলে চালাচ্ছেন প্রচারণা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট, অলিগলিতে ব্যানার-পোস্টার সাটিয়ে জানান দিয়েছেন তার প্রার্থিতা। দলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির পাশাপাশি ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করছেন। এই নেতা গণসংযোগে গিয়ে ইতিমধ্যে ভোটারদের মন জয় করেছেন।
আগামী নির্বাচনে মাওলানা রশীদের ক্লিন ইমেজ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে।
জানা গেছে, মাওলানা রশীদ আহমদ ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। ফুলবাড়ি মাদরাসা থেকে কৃতিত্বের সাথে দাখিল ও আলিম এবং সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা থেকে ফাযিল ও কামিল ফিল হাদিস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় (বিসিএস)এবং এডভোকেটশিপও পাশ করেন। বর্তমানে তিনি সিলেট জজ কোর্টের একজন বিজ্ঞ আইনজীবী। মাওলানা রশীদ আহমদের সমাজকর্মের সূচনা শৈশবে। ফুলবাড়ি আজিরিয়া আলিয়া মাদরাসায় দরিদ্র তহবিলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তিনি।
পিতার নামে মাহমুদ হোসাইন এডুকেশন এন্ড ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে এর মাধ্যমে এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের সেবা করেছেন নিরলসভাবে। গরিব মেয়েদের ইসলাম ও আধুনিক শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ দিতে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন মাহমুদ হোসাইন ইসলামিক একাডেমী। ২০০৬ সালে তিনি স্থানীয় হেতিমগঞ্জে গড়ে তুলেন একটি ফ্রি চিকিৎসাকেন্দ্র যা ৬ বছরে এলাকার দশ সহস্রাধিক গরিব ও অসহায় রোগীকে সেবা প্রদান করে। দলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সিলেট- ৬ আসনটি বিএনপিকে উপহার দেয়ার জন্য রশীদ আহমদকে বিএনপিতে নিয়ে আসেন নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী। এরপর দুুই উপজেলায় বিএনপিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে রশীদ আহমদকে জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি পদ দেয়া হয়। আসনটি পুনরুদ্ধার করতে হলে রশীদ আহমদের বিকল্প নেই।