একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জাতীয় পার্টির (জাপা এরশাদ) বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কারণ জাপা বা মহাজোট তাকে পত্র দেয়নি। পরপর দুইবার ‘লাঙ্গল’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী। গতকাল তিনি দলীয় লোকজন সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মোসার হাতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মহাজোটের অন্যতম শরিক দল জাপা (এরশাদ)। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে জাপাকে এ আসনটি ছেড়ে দেয়। জাপা মনোনয়ন দেয় জিয়াউল হক মৃধাকে। ১৯৭৩ সালের পর এখানে নৌকার প্রার্থী পাস করতে না পারলেও আওয়ামী লীগ ও জাপার ঐক্যে মুফতি আমিনীর মতো প্রার্থীকে ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন মৃধা।
বিষয়টি জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় এসে যায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আসনটি জাপাকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। নির্বাচনী এলাকার মানুষ নিশ্চিত ছিলেন এবারও মৃধাই পাবেন মহাজোটের মনোনয়ন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ মহাজোটের শরিক সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীর বক্তব্য ছিল-‘বহিরাগত ঠেকাও। সরাইল-আশুগঞ্জের বাহিরের কোনো প্রার্থীকে আমরা মেনে নেব না।’ হয়েছে উল্টো। জাপা এখানে মনোনয়ন দিয়ে বসেছে আখাউড়া উপজেলার বাসিন্দা মৃধার মেয়ের জামাতা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে। ক্ষোভে ফোঁসে ওঠে নির্বাচনী এলাকার সকল মানুষ। জিয়াউল হক মৃধা বলেন, গত ১০ বছর আমি কাজ করেছি। মাছ যেমন পানিতে মিশে থাকে। আমিও ঠিক সেইভাবে জনতার সঙ্গে ছিলাম। জাপা মনোনয়ন প্রদানে অনেক কুকর্ম করছে। এখানকার মানুষ চিনে না। জানে না। হঠাৎ করে ইউপি সদস্যের অযোগ্য এমন একটি লোককে মনোনয়ন দিয়ে বসেছে দল। মহাজোট নেত্রী শেখ হাসিনা এখানে প্রার্থী হিসাবে এখনো আমাকেই চাইছেন। কিন্তু আমি গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার। স্থানীয় জনগণ আমাকে চায়। তাই আমি স্বতন্ত্রভাবেই লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।