× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মশা ছেড়েই মশার বংশ ধ্বংস করবে গুগল

তথ্য প্রযুক্তি

অনলাইন ডেস্ক
২৯ নভেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার

এ বার হাজারে হাজারে মশা ছেড়েই মশার বংশ ধ্বংস করবে গুগলের মূল সংস্থা ‘অ্যালফাবেট’! নির্মূল করবে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার আশঙ্কা। মশাদেরই বানিয়ে দেওয়া হবে ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’!

মশাদের নামানো হবে ‘যুদ্ধে’। মশাদের বিরুদ্ধেই। তবে যুদ্ধে যেমন সুন্দরী গুপ্তচরদের ফাঁদে ফেলে বিপক্ষের সেনাবাহিনীর গোপন খবরাখবর নেওয়া, তাদের রণকৌশল আগাম জেনে ফেলার চল রয়েছে, অনেকটা সে রকমই, চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুর বিষে ভরা ‘রাক্ষুসে’ স্ত্রী মশাদের টেনে আনা হবে গুগলের ‘পছন্দের’ পুরুষ মশাদের তাদের সামনে এগিয়ে দিয়ে। স্বাভাবিক মিলনের প্রলোভন দেখানো হবে।

‘রাক্ষুসে’ স্ত্রী মশাদের তো আর জানা নেই, যে পুরুষ মশাদের  ভাল লেগেছে, যাদের সঙ্গে তাদের মিলন হয়েছে, সেই পুরুষ মশাদের শরীরে গুগলের বিজ্ঞানীরা ঢুকিয়ে দিয়েছেন ‘উলবাচিয়া’ প্রজাতির একটি ব্যাকটেরিয়া। যা স্ত্রী মশাদের বন্ধ্যা করে দেয়। ফলে, মিলনের পরেও স্ত্রী মশারা আর ডিম পাড়তে পারবে না। তাই মশার বংশ আর বাড়বে না।
মশার বংশ ধ্বংস হতে বেশি সময়ও লাগবে না। ফলে, নির্মূল হবে কোনও এলাকায় ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো ‘এডিস ইজিপ্টাই’ প্রজাতির মশাবাহিত ভয়ঙ্কর রোগের জন্ম ও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার যাবতীয় সম্ভাবনাও।


মিলনের ফাঁদে ফেলে মশা দিয়ে মশা মারার এই অভিনব পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন গুগলের মূল সংস্থা ‘অ্যালফাবেট’-এরই আরেকটি ইউনিট ‘ভেরিলি লাইফ সায়েন্স’-এর জীববিজ্ঞানীরা। হালে তাঁরা তাঁদের উদ্ভাবিত পদ্ধতির পরীক্ষানিরীক্ষাও চালিয়েছেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেসনো কাউন্টিতে। এই ভাবেই গোটা বিশ্বে মশাবাহিত রোগগুলি নির্মূল করা যাবে বলে বিজ্ঞানীদের আশা। এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার।

সংস্থার মুখপাত্র ক্যাথলিন পার্কস বলেছেন, ‘একটি উঁচু মার্সিডিজ ভ্যান ছুটতে ছুটতে ফ্রেসনো কাউন্টির বিশাল একটি এলাকাজুড়ে একটি টিউব থেকে আশপাশের জঙ্গল ও লোকালয়ে ছড়িয়ে দেয় শরীরে বিশেষ এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া (‘উলবাচিয়া’) পুরে দেওয়া প্রায় ৮০ হাজার পুরুষ মশা। যাদের টানে কাছে এসে গোটা এলাকার মেয়ে মশারা মিলনের পর পুরোপুরি বন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে।’

গবেষণাগারে নিয়ে গিয়ে ওই পুরুষ মশাগুলির শরীরে ‘উলবাচিয়া’ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া ঢুকিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি, বিশেষ ধরনের একটি টিউব থেকে বের করে তাদের বিষে ভরা মেয়ে মশাদের সঙ্গে ‘যুদ্ধে’ নামানোর আগে লেসার রশ্মি দিয়ে তাদের উপর নজরও রেখেছিলেন বিজ্ঞানীরা। প্রতিটি মশার উপর।

তাঁদের দাবি, এই পদ্ধতিতেই সবচেয়ে সহজে আর সবচেয়ে কম খরচে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিষে ভরা মশাদের বংশ ধ্বংস করা যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর