চাঁপাই নবাবগঞ্জ-২ (নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট) আসনে শেষ মুহূর্তে হলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদলের আশা করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস ও আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী গোমস্তাপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম বাচ্চু। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই দল থেকে ঘোষিত প্রার্থী জিয়াউর রহমানকে বদলের জন্য কেন্দ্রে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। আর এজন্যই আওয়ামী লীগের পরিচয়ে গত বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন এই দুই নেতা। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। এই নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন খুরশিদ আলম বাচ্চু। এবারো এই আসন থেকে তারা দু’জনসহ ২০ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। কিন্তু তাদের দু’জনের উপরেই ভরসা রাখেনি আওয়ামী লীগ। মনোনয়ন দেয়া হয় এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানকে।
এরপর থেকেই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন মোস্তফা বিশ্বাসের সমর্থকরা। প্রার্থী বদলের দাবিতে গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ুমিছিল করে মোস্তফা বিশ্বাসের সমর্থকরা। কিন্তু এরপরও প্রার্থী বদল না হওয়ায় নির্বাচনে লড়তে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পরিচয়েই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোস্তফা বিশ্বাস ও খরশিদ আলম বাচ্চু। দু’জনেরই আশা, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই প্রার্থী বদল হলে তাদের মধ্যে থেকেই দল একজনকে বেছে নিবে। এজন্য কেন্দ্রে জোর লবিং চালাচ্ছেন তারা। এ ব্যাপারে মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস জানান, প্রার্থী বদল হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন এখানো ২/৩ দিন সময় আছে। দেখা যাক কি হয়? আরেক প্রার্থী খুরশিদ আলম বাচ্চু বলেন, প্রার্থী বদলের একটি সম্ভাবনা থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। না হলে বাছাইয়ে এমনিতেই আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাবে।