টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
১৯৯০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা ৫ বার আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় লাভ করেছে। এ আসনে ১৯৯০ ও ৯৬ সালে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী জয় লাভ করেন।
পরবর্তীতে ২০০১ সালে এ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় টিকিট পান কৃষি বিজ্ঞানী সাবেক ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি। তিনি সে বছর আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীকে হারিয়ে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। তিনি ঐ সময় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলা কমপ্লেক্স, নতুন ইউনিয়ন বিভাজন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও ও ভবন নির্মাণ, আধুনিক অডিটোরিয়াম, ৭২ হাজার মেট্রিক টনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সাইলো, থানা কমপেক্স, নতুন কলেজ প্রতিষ্ঠা, বাজার উন্নয়ন, শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিসহ নানান উন্নয়নমূলক কাজ করে ব্যাপক সুনাম ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ফারুক আহমাদ ফরিদ বলেন- আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা তথা নৌকা হলো উন্নয়ন-অগ্রগতি, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও শান্তির প্রতীক।
শোলাকুড়ি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী বলেন, ড. মো. আবদুর রাজ্জাক একজন উন্নয়নকামী সৎ ও ক্লিন ইমেজের মানুষ। তিনি এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের জন্য আউশনারা কলেজ, মহিষমারা কলেজ, শোলাকুড়ি কলেজ ও মুশুদ্দি রেজিয়া কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করেছেন। কলেজ ও বিদ্যালয়গুলোতে আধুনিক ভবন ও অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। উপজেলার এমন কোনো রাস্তা নেই যেটি তিনি পাকা করেন নাই। এ ছাড়া তিনি মধুপুরে একটি আধুনিক অডিটোরিয়াম নির্মাণ করেছেন।
ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন জানান, ড. মো. আবদুর রাজ্জাক একজন সাদা মনের মানুষ। এ এলাকার জনগণের শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য তিনি সবসময় সচেষ্ট। মধুপুর-ধনবাড়ীর উন্নয়নের রূপকার।