× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হলফনামা: খুলনা-১ /পাঁচ বছরে পঞ্চানন বিশ্বাসের সম্পদ বেড়েছে সাড়ে তিনগুণ, মামলায় এগিয়ে আমীর এজাজ খান

ইলেকশন কর্নার

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাসের গত ৫ বছরে অস্থাবর সম্পদ  বেড়েছে সাড়ে তিনগুণ। একই সঙ্গে বেড়েছে আয়ও। অন্যদিকে মামলায় এগিয়ে রয়েছে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আমীর এজাজ খান। আয় কমেছে সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডলের। আর বার্ষিক আয়ে এগিয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়। নির্বাচন কমিশনের প্রার্থীদের জমা দেয়া হলফনামা থেকে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামায় পেশা হিসেবে কৃষি কাজ দেখিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পঞ্চানন বিশ্বাস।
শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। তিনি বর্তমান সংসদ সদস্য। তার বার্ষিক আয় ১৩ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬৬ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে ৭০ হাজার টাকা, বাড়ি ও দোকান ভাড়া ৫ লাখ ১২ হাজার, বেতন ও সম্মানী বাবদ ৬ লাখ ৬০ হাজার এবং অন্যান্য আয় ১ লাখ ৪১ হাজার। তার ১ কোটি ২ লাখ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে নগদ ৩৩ লাখ টাকা, বিভিন্ন যানবাহনের অর্জনকালীন মূল্য ৫০ লাখ, স্বর্ণ ৭ লাখ, আসবাবপত্র রয়েছে ৭ লাখ ও ইলেকট্রনিক্স রয়েছে ৭ লাখ টাকার। স্থাবর সম্পদের কৃষি জমির পরিমাণ না দেখালেও পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত বলে উল্লেখ করেছেন। তবে ঢাকা ও খুলনায় তার দু’টি বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় একটি দ্বিতল বাড়ি এবং ঢাকা উত্তরায় একটি বাড়ি রয়েছে (ডেভেলপার কর্তৃক নির্মিত)। তার নামে কোনো মামলা এবং দায় নেই। ব্যাংকেও কোনো টাকা জমা নেই। অন্যদিকে তার জমা দেয়া হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ পাস দেখিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পেশা ছিল কৃষি ও ব্যবসা (সিমেন্ট) জনপ্রিয় ট্রেডার্স। তখন বার্ষিক আয় ছিল তার ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে কৃষিখাতে ৭ লাখ এবং ব্যবসা থেকে ৩ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদ ছিল ২৬ লাখ ৫০ হাজার ৩৬০ টাকার। এর মধ্যে নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংকে জমা ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬০ টাকা। ২ লাখ টাকা মূল্যের দু’টি মোটরসাইকেল, ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও ২ লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র ছিল তার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৯ দশমিক ৫৭ একর কৃষি জমি ছিল তার। এছাড়া ঢাকার রাজউকে ১৬ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি, খুলনার বটিয়াঘাটা বাজারে ২টি আধাপাকা দালান ও ৬০ হাজার টাকা মূল্যের মৎস্য খামার ছিল তার। এবারের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আমীর এজাজ খান তার হলফনামায় পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন ব্যবসা। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ। তার বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৯ টাকা। এর মধ্যে কৃষিখাত থেকে ৩৩ হাজার ৪০৮ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৪ লাখ ৬ হাজার ৯৪৯ টাকা ও শেয়ার বা ব্যাংক আমানত থেকে ৩ লাখ ৮ হাজার ৬৬২ টাকা বার্ষিক আয় তার। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ২ লাখ টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল ও ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের প্রাইভেটকার, ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র রয়েছে তার। আর স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৮৭ শতক কৃষি জমি ও ৮২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের অকৃষি জমি রয়েছে তার। তার কোনো দায়দেনা না থাকলেও মামলায় জর্জরিত তিনি। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা চারটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আর পূর্বের একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি।  হলফনামায় পেশা হিসেবে মৎস্য ঘের ও গলদা-বাগদা চিংড়ি উৎপাদন, ক্রয়-বিক্রয় ও বিপণন দেখিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দাকোপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ননী গোপাল মণ্ডল। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএ। তার বার্ষিক আয় ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষিখাতে ৪০ হাজার টাকা এবং মৎস্য ঘেরের চিংড়ি মাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার নগদ ২৫ লাখ টাকা ছাড়া অস্থাবর কোনো সম্পদ নেই। তবে তার স্ত্রীর ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং ৪ লাখ ২ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৫ একর কৃষি জমি ও ১০ লাখ টাকা মূল্যের মৎস্য খামার রয়েছে তার। তার কোন দায় নেই। আর বর্তমানে কোনো মামলা না থাকলেও পূর্বের ২টি মামলার একটি প্রত্যাহারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি ও অপরটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রাপ্ত। অন্যদিকে পেশা হিসেবে কৃষি, ব্যবসা ও রাজনীতি হলফনামায় দেখিয়েছিলেন তিনি। তার বার্ষিক আয় ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষিখাতে ৩০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সম্মানী ভাতা ৪ লাখ টাকা ও মৎস্য খামার থেকে ২ লাখ টাকা আয় ছিলো তার। তখন নিজের নগদ ১ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৪ হাজার ৯৩২ টাকা, ৩২ হাজার  ইউএস ডলার মূল্যে মোটরগাড়ি ও ১ লাখ টাকার মূল্যের আসবাবপত্র ছিল তার। তার স্ত্রীর ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ১০ তোলা স্বর্ণালঙ্কার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৫ একর কৃষি জমি, পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত ৪ একর কৃষি জমি ছিল। ১ লাখ টাকা মূল্যের দালান। একটি মৎস্য খামার। তার স্ত্রীর ৪ দশমিক ৫০ একর কৃষি জমি ছিল।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় তার হলফনামায় পেশা হিসেবে লেখক ও সাংবাদিক দেখিয়েছেন। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সাংবাদিকতায় এম এ পাস। তার বার্ষিক আয় ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অবশ্য আয়ের উৎস হিসেবে চাকরি থেকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, পেশা থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক জমা থেকে ৬ লাখ টাকা বার্ষিক আয় তার। তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় ৪ লাখ ৫ হাজার ৩৩৬ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে তার এবং তার স্ত্রীর নগদ ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা রয়েছে। নিজের ব্যাংকে জমা না থাকলেও তার স্ত্রীর রয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ৩৩৬ টাকা। তার বন্ড, শেয়ার, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে এবং তার স্ত্রীর ২৫ লাখ টাকা। ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের গাড়ি রয়েছে তার। ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র ও অন্যান্য ৬০ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদ রয়েছে তার। তার স্ত্রীর ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে তার দশমিক ৩৬ শতক কৃষি জমি, দশমিক ৮০ শতক অকৃষি জমি ও ৭২ হাজার টাকা মূল্যের দালান রয়েছে। এছাড়া এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের মো. আবু সাঈদ, ওয়ার্কার্স পার্টির গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায় ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির অশোক কুমার সরকার।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর