নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে ধানের শীষের চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহমুদুর রহমান সুমন। তিনি থানা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি। পিতা প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খসরু’র অবর্তমানে তিনি থানা বিএনপি’র হাল ধরেন। তার মনোমুগ্ধকর আচার-আচরণে তিনি স্থানীয় বিএনপি’র সমর্থিত ভোটার ও নেতাকর্মীদের কাছে প্রিয়মুখ হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন বলে অনেকের অভিমত। দলের নেতাকর্মীরা জানান, অন্য তিন সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে ভোটের মাঠে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। সোমবার স্থানীয় দক্ষিণপাড়া এলাকায় এক কর্মিসভায় সুমন বলেন, ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরচারী এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে। আমি আমার পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে দলের কাজ করে যাচ্ছি। পিতা প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খসরু আড়াইহাজারবাসীর উন্নয়নে কাজ করে গেছেন।
তিনি ১৯৮৬ সালে বিপুল ভোটের ব্যবধানে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদকও ছিলেন। স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। বিপদাপদে মানুষকে সহযোগিতা দিয়ে গেছেন। নির্যাতিত দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে লালন করতেন। আমি তারই উত্তরসূরি। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করবো ইনশাআল্লাহ্। আমি শতভাগ আশাবাদী যে, দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। তিনি আরো বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। দেশে আইনের শাসন নেই। বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছে সরকার। বিএনপি’র চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো মামলায় কারাবন্দি রাখা হয়েছে। তাকে জামিন দিচ্ছে না। তারেক রহমানকে দেশে আসতে বাধা দেয়া হচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারপরও আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। এদিকে থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কাসেম ফকির বলেন, সুমন একজন তরুণ প্রার্থী। তাকে নিয়ে ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। তিনি ইতিমধ্যে মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি দলের হাল ধরে পিতার শূন্যতাকে পূরণ করতে পেরেছেন। তার নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা দলে শক্তিশালী একটি অবস্থান গড়ে তুলতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।