টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে শহিদুল ইসলাম সরকারকে (শহিদ) বিএনপির মনোনয়ন দেয়ায় উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা। ঋণ খেলাপির দায়ে এ আসনের বহিরাগত আরেক প্রার্থী ফকির মাহবুব আনাম স্বপনের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। মরহুম ময়েজ উদ্দিন সরকারের সুযোগ্য পুত্র মধুপুর পৌরসভার তিনবারের সাবেক মেয়র উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরকার শহিদ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলে হারানো আসনটি উদ্ধার করতে পারবেন বলে জানান নেতাকর্মীরা। মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার যুবদল ও ছাত্রদলের সব কমিটি গঠন করে তৃণমূলে দলকে সুসংগঠিত করেছেন সরকার শহিদ। সরকার শহিদ প্রথমে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। মধুপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর প্রথম আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর বিএনপিতে যোগ দিয়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বিএনপির মনোনয়নে পরপর আরো দুইবার পৌরমেয়র নির্বাচিত হন।
উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, বহিরাগত প্রার্থীর পরিবর্তে স্থানীয় প্রার্থী সরকার শহিদের ওপরই আস্থা তৃণমূল নেতাকর্মীদের। উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, সরকার শহিদ মনোনয়ন পাওয়ায় আওয়ামী শিবিরেও ভীতি ধরেছে। দলমত নির্বিশেষে ভোটাররা সরকার শহিদকে ভোট দেবে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবির তালুকদার বলেন, সরকার শহিদ ব্যতীত বহিরাগত কাউকে মধুপুর বিএনপির নেতৃত্বে দেখতে চাই না। মধুপুর-ধনবাড়ীতে বিএনপির এমপি নির্বাচনে সরকার শহিদের বিকল্প নেই। সরকার শহিদ জানান, টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে যারা এমপি হয়েছেন তাদের মধ্যে শুধুমাত্র জাসদের আ. ছাত্তার মধুপুরের স্থায়ী নাগরিক ছিলেন আর প্রায় সবাই ধনবাড়ী উপজেলার। কেউবা আবার অন্য উপজেলার। তিনি জানান, দল আমাকে চূড়ান্ত মনোনীত করলে আমি বিজয়ী হব ইনশাল্লাহ।