সীতাকুণ্ডে এক ব্যাংক কর্মকর্তা কর্তৃক সরকারের দেয়া বিধবার বয়স্কভাতা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তবে ব্যাংক কর্মকর্তা বিষয়টি অস্বীকার করলেও ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তা ধরা পড়ে। তবে ব্যাংক কর্মকর্তার দাবি বিষয়টি ভুলের কারণে হয়েছে। জানা যায়, সীতাকুণ্ড ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত নজির আহমদের স্ত্রী জোলেখা বেগম (ওরফে- পাখি) ২০০৬ সাল থেকে বয়স্কভাতা ভোগ করছেন। তার বয়স্কভাতার বহি নম্বর ৪৬৭৮। জানুয়ারি ২০১৭ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৮ইং পর্যন্ত ১০ হাজার ৫৪০ টাকা বয়স্কভাতা দেয় সরকার। টাকাগুলো পাখি’র ব্যাংক একাউন্টে জমা হয়। গত ১২ই নভেম্বর তিনি মাদামবিবিরহাটস্থ অগ্রণী ব্যাংকের শাখায় সরকারের দেয়া বয়স্কভাতার টাকা উত্তোলন করতে যান।
ওই সময় ব্যাংক কর্মকর্তা বৃদ্ধার কাছ থেকে টিপ ও স্বাক্ষর নিয়ে ১০ হাজার ৫৪০ টাকা দেয়ার বদলে ৪৮০ টাকা দিয়ে বাকি টাকা তিনদিন পর নেয়ার জন্য বলেন। পরে বাকি টাকার জন্য বৃদ্ধা ব্যাংকে গেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তা তাকে সব টাকা দিয়ে দিয়েছে বলে শাসালে মহিলাটি বাড়িতে ফিরে গিয়ে স্থানীয় সমাজসেবক ও মাদামবিরিহাট শাহাজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আ ফ ম ইউসুফকে জানান। পরে তিনি সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি এম সেকান্দর হোসাইনকে নিয়ে গত মঙ্গলবার ব্যাংকে গিয়ে ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজে দেখতে পান, ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা বৃদ্ধাকে চারটি ১০০ টাকার নোট ও কিছু পয়সা ব্যাগের মধ্যে দিয়ে তার কাছ থেকে টিপ ও স্বাক্ষর নিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সিসি টিভির ফুটেজে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় মহিলাটিকে তার ১০ হাজার টাকা ফেরত দিবেন বলে ব্যাংক কর্মকর্তা আশ্বস্ত করেছেন।
অগ্রণী ব্যাংক মাদামবিরিহাট শাখার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) এ আই এম জিয়াউল হুদা সিদ্দিকী জানান, ভুলবশত ১০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল বৃদ্ধা নেয়নি। টাকাগুলো বৃদ্ধাকে ফেরত দেয়া হবে। তবে টাকা আত্মসাৎকারী ঐ ব্যাংক কর্মকর্তার নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।