× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বুলবুলের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে জিকরুলের আপিল

ইলেকশন কর্নার

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
৭ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবাদুল করিম বুলবুলের মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছেন একই আসনের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদ খোকন। আপিল আবেদনে মনোনয়নটি বাতিল না করে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার হায়াত-উদ-দৌলা খান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) লঙ্ঘন করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। জিকরুল আহমেদ বাছাই চলাকালে এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে চাইলে রিটার্নিং অফিসার তা গ্রহণ করেননি। ৫ই ডিসেম্বর করা এই আপিল নম্বর ৪৯২। শনিবার এ বিষয়ে শুনানি হবে। আপিল আবেদনে  অভিযোগ করা হয়- এবাদুল করিম বুলবুল নবম সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে যে হলফনামা দাখিল করেন সেখানে পরিমাণ উল্লেখ না করে ৪ হাজার টাকা মূল্যের কৃষিজমি এবং স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল মৌজায় ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৩৩৩ টাকা মূল্যের  ৩২.৬৬ শতাংশ এবং ২লাখ ৩০ হাজার টাকা  মূল্যের ২৩ শতাংশ জমি থাকার কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে দাখিলকৃত হলফনামায়  কৃষি জমি ৩২.৬৬ শতাংশ এবং ২৩ শতাংশ জমির পরিমাণ ও মূল্য উল্লেখ করেননি। এর বাইরে বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি মৌজায় ২০১৩ সালের ২১শে মে ৪২৫০ নম্বর দলিলে ৯লাখ ১১ হাজার টাকায় ক্রয়কৃত ২২শতক জায়গার বিষয়টিও হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি।
আপিল আবেদনে বলা হয় ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে হলফনামায় ভুল তথ্য প্রদানের বিষয়ে বলা হয়েছে- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ অনুসারে হলফনামার মাধ্যমে কোনো প্রার্থী তথ্য প্রদান না করলে অথবা দাখিলকৃত হলফনামায় কোনো অসত্য তথ্য প্রদান করলে বা হলফনামায় উল্লিখিত কোনো তথ্যের সমর্থনে যথাযথ সার্টিফিকেট, দলিল ইত্যাদি দাখিল না করলে রিটার্নিং অফিসার নিজ উদ্যোগে  অথবা আদেশের ১৪ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত কোনো ব্যক্তি কর্তৃক উত্থাপিত আপত্তির প্রেক্ষিতে ততবিবেচনায় সংক্ষিপ্ত তদন্ত পরিচালনা করতে পারবেন এবং কোনো মনোনয়নপত্র বাতিল করতে পারবেন। অধিকন্তু হলফনামা দাখিল না করলে বা আদেশের বিধানবলী যথাযথভাবে প্রতিপালন না করলে নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৪(৩)(সি) অনুসারে বাছাই পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারবেন। তাছাড়া হলফনামায় প্রদত্ত কোনো তথ্য মিথ্যা বা ভুল বলে প্রমাণিত হলে তা ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১৮১ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। জিকরুল আহমেদ খোকন বলেন আরপিও অনুসারে সারবত্তাহীন ত্রুটির জন্য মনোনয়নপত্র বাতিল করা যাবে না মর্মে বিধান থাকলেও বিশেষ ভাবে হলফনামায় উল্লিখিত কোনো তথ্য পরিবর্তন বা সংশোধন করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।  

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর