× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইমরান খানের মন্ত্রীপরিষদের প্রথম ‘উইকেটের’ পতন

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) ডিসেম্বর ৭, ২০১৮, শুক্রবার, ১১:১২ পূর্বাহ্ন

প্রথম ‘উইকেটের’ পতন ঘটলো পাকিস্তান ক্রিকেটের কিংবদন্তি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্ত্রীসভার। এর আগে আরো একটি ‘উইকেটের’ পতন হলেও তিনি মন্ত্রী ছিলেন না। তিনি ছিলেন ইমরান খানের পার্লামেন্ট বিষয়ক উপদেষ্টা বাবর আওয়ান। তবে এবার সরাসরি তার মন্ত্রীপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী আযম খান স্বাতী। রাজধানী ইসলামাবাদে পুলিশের সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল জান মোহাম্মদকে তিনি প্রভাব বিস্তার করে বদলি করিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। ওই মামলায় মুখোমুখি হতে তিনি মন্ত্রীপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে সেপ্টেম্বরে পদত্যাগে বাধ্য হন বাবর আওয়ান।
বার্তা সংস্থা পিটিআই’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।

মন্ত্রী আযম খান স্বাতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর তিনি তা অস্বীকার করেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়টি আমলে নেয়। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের সৃষ্টি হয় তার। পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেয়া শুরু হয়। সরাসরি মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি। আযম খানের বিরুদ্ধে যখন তদন্ত শুরু হয় তখন তার ওপর বিরোধী দল সরকারের ওপর এমন একজন মন্ত্রীকে পদে রাখা নিয়ে প্রচ- চাপ সৃষ্টি  করে। শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করেন। মিডিয়াকে জানান, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি কোনো মন্ত্রীর পদে থেকে বা কর্তৃত্বে না থেকে নিজের পক্ষ অবলম্বন করবেন। তার ভাষায়, আমার নৈতিক অবস্থান ধরে রাখার জন্য, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। তাতে বলেছি, চলমান পরিস্থিতিতে আমি কাজ করতে পারছি না।

অভিযোগ আছে, মন্ত্রী আযম খানের ছেলে একটি মামলা করেন সম্প্রতি। তাদের পারিবারিক জমির ওপর দিয়ে বস্তিবাসীরা চলাচল করছে এমন অভিযোগ করা হয়। এরপর মন্ত্রী আযম খান ফোন করেন আইজিপি (ইসলামাবাদ) জান মোহাম্মদকে। কিন্তু তিনি মন্ত্রীর ফোন ধরেন নি বলে তাকে বদলি করা হয়েছে। মিডিয়ায় এ নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি হয়। তাতে বলা হয়, পুলিশের কাজে একজন মন্ত্রী নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করেছেন। নভেম্বরে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসার এ মামলায় সুয়োমটো জারি করেন। তিনি পার্লামেন্টারি তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই তদন্তে দেখা যায়, দরিদ্র বস্তিবাসীদের সঙ্গে ফ্যাসাদ বাধানোর জন্য দায়ী মন্ত্রীর পরিবার। পুলিশ প্রধানকে বদলি ও ক্ষমতার অপব্যবহারে মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে আলাদা একটি তদন্ত হয়। প্রধান বিচারপতি এ মামলার শুনানির শুরুতে সংবিধানের ৬২ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের কথা বলেন। এই ধারায় তদন্তে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ অযোগ্য হয়েছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর