ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন পড়াশোনায় স্নাতকোত্তর। আর বিএনপি প্রার্থী এসএকে একরামুজ্জামান এইচএসসি পাস। তবে সম্পদে এগিয়ে আছেন তিনি। ৩৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক একরামুজ্জামান। ব্যবসায় একক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান থেকে বছরে তার আয় ২ কোটি ৭৮ লাখ ৪ হাজার ৭৩ টাকা। আর অংশীদারী প্রতিষ্ঠান থেকে আসে ১ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৩৬ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে শেয়ার মূলধনী লাভ হিসাবে পান ৪২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৬ টাকা। চাকরি থেকে পারিতোষিক আয় রয়েছে তার ৪ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার ৬৭৭ টাকা। অন্যান্য আয় হিসেবে লভ্যাংশ এবং ব্যাংক সুদ থেকে আসে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭০ টাকা।
করমুক্ত আয় (অব্যাহতি প্রাপ্ত নগদ লভ্যাংশ, প্রাপ্ত বোনাস শেয়ারের অভিহিত মূল্য, বন্ড নগদায়ন জনিত মুনাফা) ৪ কোটি ৯১ লাখ ৮৫ হাজার ৫০৯ টাকা। হলফনামা থেকে জানা যায়- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা একরামুজ্জামানের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই। অন্যান্য কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকায় দায়ের হওয়া ৪টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি আগেই। কৃষিখাত থেকে বিএনপির এই প্রার্থীর আয় ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৬শ’ টাকা। এছাড়া বাড়ি-এপার্টমেন্ট-দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ১ কোটি ২ লাখ ৬২ হাজার ২৯১ টাকা আয় রয়েছে তার। এই খাতে তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় ৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। নির্ভরশীলরা ব্যাংক সুদ পান ১ লাখ ২১ হাজার ৫৯৬ টাকা। একরামুজ্জামানের কাছে নগদ টাকা রয়েছে ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৭ টাকা। আর স্ত্রীর নামে নগদ দেখানো হয়েছে ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩৬ টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা ইউএস ডলার আছে ১০ লাখ ৬২ হাজার (ইউএই)। ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ৭১ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯৬ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় কোম্পানির শেয়ার আছে ২৪ কোটি ২৮ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৪টি। যার মূল্য ২৫৬ কোটি ৮৭ লাখ ৯৯ হাজার ৩০৯ টাকা।
ফরহাদ হোসেন সংগ্রামের ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ৫০ হাজার ২৫১ টাকা। শেয়ার সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক জামানত হিসেবে রয়েছে তার ২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪ টাকা। অন্যান্য খাতে সম্মানী ভাতা হিসেবে দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৬ টাকা। তার নগদ টাকার পরিমাণ ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৯ টাকা। স্ত্রীর নামে বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে ১০৭১ (ইউএসডি)।