× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসন /লক্ষাধিক তরুণ ভোটারেই নির্ধারিত হবে প্রার্থীর ভাগ্য

বাংলারজমিন

খালিদ হোসেন সুমন, নবাবগঞ্জ (ঢাকা) থেকে
৮ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসনে (দোহার-নবাবগঞ্জ) ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৯৫৮ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সে ভোটার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৪০৭ জন। ভোটার বেড়েছে ৬৪ হাজার ৪৪৯ জন। অন্যদিকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে ভোটার ছিল ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮৩৬ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সে ভোটার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৪০৭ জনে। সে হিসেবে ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৭১ জন। এ সংখ্যার প্রায় পুরো অংশই তরুণ ভোটার। এদের মধ্যে বৃহৎ একটি অংশ বিগত দশম সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে কেন্দ্রেই যায়নি।
কিন্তু এবারের নির্বাচন হচ্ছে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতামূলক। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিক্ষপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলে নতুন ভোটারসহ সব ভোটারই তাদের মতামত জানানোর সুযোগ পাবে। ভোট যখন আসন্ন তখন অনেকেরই চিন্তা ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের লক্ষাধিক এই ভোটারকে নিয়ে। ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী এসব ভোটারের বেশির ভাগই এই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের সমর্থন জানানোর সুযোগ পেতে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো তারা সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন।  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের কারণে এই তরুণ প্রজন্ম অবাধ তথ্য প্রবাহের মধ্যে বড় হয়ে উঠেছে। এদের মধ্যে দেশপ্রেম রয়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সবচেয়ে বড় নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে এই তরুণ প্রজন্ম। রাজনীতির নানা ভাঙাগড়ার লাভ-ক্ষতির বিষয়টিও এরা পর্যবেক্ষণে রাখছে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লায়স আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি যে দলই এবার নির্বাচনে জিতুক, তরুণদের ভোট নিয়ে জিততে হবে। তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে চাইলে অবশ্যই তাদের জন্য বিশেষ কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে। কারণ আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারুণ্যের জন্য অবশ্যই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রাখতে হবে। দোহারের বাসিন্দা গ্রামীণ ফোনের সাবেক পরিচালক ও রবি আজিয়াটার বর্তমান এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এম এ খান সোহেল বলেন, নতুন ভোটারদের যে সংখ্যার কথা বলা হচ্ছে, এতেই বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই লক্ষাধিক ভোটার এ নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা রাখবে। এরা অন্ধভাবে ভোট দেবে না। রাজনীতির ভাঙাগড়াও এরা পর্যবেক্ষণে রাখছে।’
শোল্লা গ্রামের তরুণ ভোটার সাদিয়া জামানের মতে, নবাবগঞ্জে মাদকের প্রভাব অনেক বেশি। এতে করে স্কুল-কলেজপড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। কমে যাচ্ছে শিক্ষার হারও। আগামী নির্বাচনে জনপ্রতিনিধির কাছে আমার প্রত্যাশা, যাতে মাদক সমস্যার সমাধানের রাস্তাঘাটগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। দলমত নির্বিশেষে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে আগ্রহী এমন প্রতিনিধি চাই, তাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করব।
শিকারীপাড়া ইউনিয়নের তরুণ ভোটার শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের সময় নানা আশ্বাস পেয়েছি, কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি। আগামী নির্বাচনে আমি এমন একজন প্রার্থী চাই, যে নিজ উদ্যোগে এসব সমস্যার সমাধান করবে। একই সঙ্গে কথা ও কাজের মিল থাকবে। উন্নয়নের জন্য এলাকাবাসী জনপ্রতিনিধির পেছনে ঘুরবে না, প্রতিনিধি যেন নিজ উদ্যোগে জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। নয়াবাড়ি ইউনিয়নের আরেকজন তরুণ ভোটার তসলিম আহমেদ বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, সংঘাতহীন নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি; প্রতিটি ভোটার যেন ভোট দিতে পারে। উদার, গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, শোষণ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা প্রত্যাশা করছি।
 নারিশা ইউনিয়নের আরেক তরুণ ভোটার হৃদয় আহমেদ বলেন, এবারের নির্বাচনেই জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেব, তাই আমি নিজে জেনে-বুঝে পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেব। আমি চাইব না জাল ভোটের কারণে আমার ভোটাধিকার নষ্ট হোক, আমি নিজেই আমার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত করতে চাই। তবে দোহার-নবাবগঞ্জের বেশ কয়েকজন তরুন ভোটার রাজধানী ঢাকার সাথে দুই উপজেলার যাতায়াত বিড়ম্বনার কথা তুলে ধরে বলেন, এই দুই উপজেলার অনেক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। এই শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে সীমিত ভাড়ায় পরিবহন সার্ভিসের ব্যবস্থা করা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর