× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিফল স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে একাট্টা হিরো আলম

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
৮ ডিসেম্বর ২০১৮, শনিবার

এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নেয়াকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংসদে যাওয়া ঠেকানোর আইন মন্তব্য করে তা বাতিল চেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম। তার মতে, এক শতাংশ ভোটারদের স্বাক্ষর সংগ্রহের মতো ‘জটিল নিয়ম’ আইনে রাখাই হয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বাদ দেয়ার জন্য। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী ঐক্যপরিষদ’-এর ব্যানারে এক সভায় এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হিরো আলম। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার আরও বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। হিরো আলম ভোটারদের সমর্থনের স্বাক্ষরে জালিয়াতির অভিযোগে বগুড়া-৪ আসনে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি তিনি। সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম বলেন, বর্তমানে জনগণ আওয়ামী লীগ-বিএনপি সরকার হবে তা চায় না। দুইটা দলের একটাকেও কেউ চায় না। তারা চাইছে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে।
সরকার পরিকল্পিতভাবে এমন আইন করছে যাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী না আসতে পারে। তার  দাবি, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত তালিকা সঠিকভাবে দেয়ার পরও সামাজিক বাস্তবতার কারণে তিনি আপিল শুনানিতে তা প্রমাণ করতে পারেননি। তিনি বলেন, ভোটারের স্বাক্ষর, গ্রাম-গঞ্জের লোক আমরা এমনিতেই ভয় করি। কেউ সত্য কথা বললে হয় লাশ, না হয় জেলখানায় যেতে হয়, আর না হয় এলাকাছাড়া। উনারা (নির্বাচন কমিশন) যখন ভোটারের কাছে গিয়েছিলেন পুলিশ দেখে এমনিতেই তারা (ভোটার) ভয় পায়। আবার ভোটারদের অনেকে কেউ বিএনপি, কেউ আওয়ামী লীগ দল সমর্থন করে। উনাদের কেউ আমাকে স্বাক্ষর দিয়েছে, কিন্তু সেই সময় সবার উপস্থিতি দেখে হয়তো স্বাক্ষরকরাদের কেউ কেউ অস্বীকার করেছে, যে স্বাক্ষর দেননি। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে হিরো আলম বলেন, আমরা সবাই সত্যি কথা বলি না বলে দেশের আজ দুর্দশা। সবাই যদি একত্রিত হয়ে বলি যে, এই আইন মানি না। কিন্তু ভয়ে কেউ সত্য কথা বলি না। তবে জন্মের পর মৃত্যু আছে। সত্যের পথে যদি জীবন দিতে পারি, তাতে কোনো ভয় নেই। তাই আমরা একদলে এক জোটে। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আসনের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করার বিধান যুক্ত হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর