× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মার্কেল জমানা সমাপ্তির পথে আরেক ধাপ / জার্মান শাসক দলের নতুন নেতা ক্যারেনবর

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) ডিসেম্বর ৮, ২০১৮, শনিবার, ৯:৫০ পূর্বাহ্ন

অ্যানেগ্রেট ক্রাম্প-ক্যারেনবরকে নতুন নেতা হিসেবে নির্বাচিত করেছে জার্মানির শাসক দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেট ইউনিয়ন। তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক। তার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দলে চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের দীর্ঘ দেড় যুগের নেতৃত্বের অবসান হলো। তবে ক্রাম্প-ক্যারেনবর (সংক্ষেপে একেকে) ছিলেন দলের মধ্যেই ফেভারিট আর মার্কেলেরও পছন্দের। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
হামবুর্গে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে ক্রাম্প-ক্যারেনবর খুব সরু ব্যবধানে ফ্রেডরিখ মার্জ নামে এক আইনজীবীকে পরাজিত করেন। একেকে ৯৯৯ ভোটের মধ্যে ৫১৭ ভোট লাভ করেন।
দলের বিশেষ সম্মেলনে নতুন এই নেতা নির্বাচিত হন। সম্মেলনে বেশ আবেগী বিদায়ী ভাষণ দেন চ্যান্সেলর মার্কেল। তিনি ২০২১ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপ্রধানের পদে থাকবেন।
এরপর এ পদেও আসবেন নতুন কেউ। সেক্ষেত্রে দলীয় প্রধান হিসেবে একেকে’র সুযোগই বেশি। ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেট ইউনিয়ন দেশের সর্ববৃহৎ নেতা।
একেকে এর আগে সারল্যান্ড প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বলেন, ‘নেতৃত্ব দেওয়ার অর্থ কী তা আমি শিখেছি। সর্বোপরি আমি শিখেছি যে, নেতৃত্বের মানে হলো বাইরে তর্জনগর্জন করার চেয়েও ভেতরে শক্ত থাকা।’
দলীয় নেতা হিসেবে নিজের প্রথম ভাষণে তিনি দলের মধ্যে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। তিনি মঞ্চে নিজের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মার্জ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেন্স স্পানকে ডেকে আনেন। তিনি বলেন, এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সামনের দিনগুলোতে তার সঙ্গে থাকলে তিনি খুবই খুশি হবেন।
অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের ব্যক্তিগত পছন্দ ছিলেন একেকে। নিজের বিদায়ী ভাষণে মার্কেল তার প্রশংসা করেন। এমনকি তাদের দু’ জনের দৃষ্টিভঙ্গি এতটা কাছাকাছি যে একেকে মিনি-মার্কেল বা মার্কেল দ্বিতীয় সংস্করণ হিসেবে আখ্যা পেয়েছেন। তিনি মার্কেলের শিষ্য ও উত্তরাধিকারী দুই তকমাই পেয়েছেন। আর সবসময়ই তিনি মার্কেলের প্রতি অনুগত ছিলেন।
তবে কিছু নীতিগত ক্ষেত্রে মার্কেলের সঙ্গে মতপার্থক্য রয়েছে তার। কর্পোরেট কোম্পানির বোর্ডে নারীদের জন্য কোটা সংরক্ষণের পক্ষে ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোরতর অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া সমকামী বিয়ের মতো সামাজিক ইস্যুতে নিজের গুরুর চেয়ে তিনি কিছুটা রক্ষণশীল। নিরাপত্তা ও অভিবাসন ইস্যুতে জার্মানির অবস্থান পুনর্বিবেচনা করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তিনি।
১৯৮১ সালে দলে যোগদান করেন এই ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক। এরপর রাজ্য পর্যায়ে ধীরে ধীরে উঁচু পদে উঠেন। ঠাণ্ডা মাথায় বিশ্লেষণী ক্ষমতার জন্য খ্যাত এই ৫৬ বছর বয়সী নেতা। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর দেশের সব বৃহৎ দল অভিনন্দন জানিয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর