বৈধতা পেলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. জাকির হোসেন। তবে কে হবেন নৌকার মাঝি তা নিয়ে চারদিকে এখন ধূম্রজাল। কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কুড়িগ্রাম-৪ আসন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র জমা দেন সাবেক এমপি জাকির হোসেন। গত ২রা ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন। পরে জাকির হোসেন নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করে ৭ই ডিসেম্বর তার মনোনয়নপত্রের বৈধতা পান এবং সেই বৈধ মনোনয়নপত্রটি শনিবার সকালে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের কাছে হস্তান্তর করেন।
এদিকে, মহাজোটের জাতীয় পার্টি মঞ্জু (জেপি)’র প্রার্থী রুহুল আমিন শুক্রবার ধানমণ্ডি কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক’র কাছ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত চূড়ান্ত প্রার্থী ও দলীয় প্রতীক বরাদ্দের জন্য চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নেন। ফলে এখন কুড়িগ্রাম-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দু’জন।
নৌকার মাঝি দু’জন হওয়ায় সর্বত্রই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সর্বত্রই চলছে কে হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝি। জানা যায়, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের জন্য জাকির হোসেনকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত আওয়ামী লীগের মনোনীত চূড়ান্ত প্রার্থী ও দলীয় প্রতীক বরাদ্দের জন্য চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হয়। অপরদিকে, মহাজোটের শরিকদল জাতীয় পার্টি জেপি’র রুহুল আমিনকেও একই পত্র দেয়া হয়। এই বিষয়ে জাকির হোসেন জানান, জেলায় আমার মনোনয়নপত্রটি বাতিল হবার সুযোগ কাজে লাগিয়ে মহাজোটের প্রার্থী রুহুল আমিন দলীয় প্রতীক নিয়ে আসেন। শুক্রবার আমার মনোনয়পত্রটি বৈধতা দেয়া হয়, আমি নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে দলীয় প্রার্থী ও প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশ নেব। মহাজোটের প্রার্থী রুহুল আমিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান মহাজোট থেকে আমাকে মনোনীত করা হয়েছে এবং আমাদের দলকে দু’টি আসন দিয়েছে তার মধ্যে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে আমি আছি। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জাকির হোসেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা যাকেই মনোনীত করুক জেলা আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করবে।