× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ওসমানীনগরে ৩ বাড়িতে ডাকাতি

বাংলারজমিন

ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি
৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার

 সিলেটের ওসমানীনগরে চারদিনে তিন বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদের হামলায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোয়ালাবাজার ইউপি’র পূর্ব ব্রাহ্মণ গ্রামের মৃত ঠাকুর ধন সারংয়ের ছেলে আবদুল মুমিন (৫৫) ও তাজপুর ইউপি’র ভাড়েরা গ্রামের মুমিন মিয়া। এ সময় ডাকাতরা তিন বাড়ি থেকে সাড়ে ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬টি মোবাইল সেট, নগদ ৪২ হাজার টাকা, বৃটিশ ৫শ’ পাউন্ড, মূল্যবান সামগ্রীসহ ১০/১২ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ৮/১০ জনের মুখোশধারী একদল ডাকাত উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোয়ালাবাজার ইউপি’র পূর্বব্রাহ্মণ গ্রামের মৃত ঠাকুরধন সারংয়ের ছেলে আবদুুল মুমিনের বাসার কলাপসিবল গেইটের তালা ও দরজা ভেঙে বাসায় হানা দেয়। গৃহকর্তা অবদুল মুমিন ডাকাতদের প্রতিরোধ করতে গেলে ডাকাতরা আবদুল মুমিনকে শাবল দিয়ে তার কপালে ও ডান হাতের উপরে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে ডাকাতরা মুমিনসহ ঘরের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ঘরে থাকা ১৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৫শ’ বৃটিশ পাউন্ড সহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে পালিয়ে যায়। ডাকাতির খবর পেয়ে ভোরেই ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন পুলিশের কয়েকটি টিম নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান।
গতকাল সকাল ১০টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওসমানীনগর (সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দক্ষিণ (সার্কেল) ইমাম মোহাম্মদ সাাদিব ডাকাতির স্থল আবদুুল মুমিনের বাসা পরিদর্শন করেন। এদিকে, গত বুধবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলা তাজপুর ইউপি’র ভাড়েরা গ্রামের প্রবাসী ভুলু মিয়া ও আমিনপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় মুমিন মিয়া নামেক এক ব্যক্তি আহত হন। ডাকাতরা বুধবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলা তাজপুর ইউপি’র ভাড়েরা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী ভুলু মিয়ার বাড়ির কলাপসিবল গেটের তালা ও দরজার সিটকানি ভেঙে ১০/১২ জনের এক দল ডাকাত ঘরে প্রবেশ করে। ডাকাতরা গৃহকর্তা ভুলু মিয়ার মামাতো ভাই মুমিন মিয়াসহ ঘরের সকলকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ২৫ হাজার, ২ ভরি স্বর্ণ, ৩টি মোবাইল সেট মূল্যবান সামগ্রি লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা প্রবাসী ভুলু মিয়ার মামাতো ভাই মুমিন মিয়াকে মারধর করলে তিনি কিছুটা আহত হন। একই কায়দায় ১০/১২ জনের ডাকাত দল একই রাতে আমিনপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে বাদশা মিয়া (৫০) এর বসত ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে ডাকাতরা। এ সময় ঘরে থাকা নগদ ১২ হাজার টাকা, দেড় ভরি স্বর্ণ, ৩টি মোবাইল সেট সহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে পালিয়ে যায়। ডাকাতদের হামলায় আহত গোয়ালাবাজার ইউপি’র আবদুল মুমিন বলেন, গত শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ডাকাতরা আমার বাসার কলাপসিবল গেইটের তালা ও দরজা ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতদের প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে তারা আমার উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। রাত সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত ডাকাতরা আমার বাসায় লুটপাট চালায়। ডাকাতরা লুটপাটের সময় আমার নিকট ৫ হাজার আমেরকিান ডলার দাবি করে। ঘরের ভেতর সাতজনের মুখোশধারী দল ছিল। সবাই সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছিল। ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন চার দিনে তিন বাড়িতে ডাকাতির হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ডাকাতদের ধরতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ইতিমধ্যে তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় আশা করি ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও ডাকাতি বন্ধ করার চেষ্টা করবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর