ঢাকাই চলচ্চিত্রের বিশিষ্ট অভিনেত্রী শবনম। সর্বশেষ কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর বিগত বিশ বছরে তাকে আর নতুন কোনো সিনেমা বা নাটকে অভিনয় করতে দেখা যায়নি। তবে বেশ কিছু সিনেমাতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও শেষ পর্যন্ত গল্প, চরিত্র তার মনকে খুব বেশি টানেনি বলে সেসব সিনেমাতে অভিনয় করেননি তিনি। অবশ্য এরইমধ্যে তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল পাকিস্তান থেকে একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব পেয়েছেন। চলতি বছরই বেশ কয়েকমাস টানা পাকিস্তানে এই ধারাবাহিকের শুটিংও করে এসেছেন তিনি। সেখানে বেশ কয়েক পর্বের শুটিং শেষে গেল মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিনি ঢাকায় ফিরেছেন। আলী তাহেরের নির্দেশনায় ফাসেহ বারী খানের রচনায় এই ধারাবাহিকের নাম ‘মোহিনী ম্যানসন কী সিনড্রেলা’।
ধারাবাহিকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে শবনমই অভিনয় করছেন। এরইমধ্যে গেল ৩রা ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানের একটি প্রাইভেট চ্যানেলে এর প্রচারও শুরু হয়েছে। শবনম জানান ‘মোহিনী ম্যানসন কী সিনড্রেলা’ টিভি চ্যানেলে প্রচারের পর ইউটিউবেও দেখা যাচ্ছে। এদিকে চার দশকেরও বেশি সময় আগে শবনম নাদিমের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানে ‘আয়না’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। নজরুল ইসলাম নির্দেশিত এটি পাকিস্তানের একটি ব্যবসা সফল সিনেমা। এই সিনেমায় অভিনয় করে শবনম ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ও পেয়েছিলেন। এই সিনেমাই নতুন করে নির্মাণ করবেন আলী নূর। যার নাম হবে ‘আয়না-টু’। নায়করাজ রাজ্জাকের বিপরীতে শবনম বাংলাদেশে অশোক ঘোষ পরিচালিত ‘নাচের পুতুল’ সিনেমাতে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। এই সিনেমার ‘আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন’ এখনো দর্শকের মুখে মুখে ফিরে। অভিনয় জীবনের শুরুতেই শবনম এদেশে ‘এদেশ তোমার আমার’, ‘রাজধানীর বুকে’, ‘হারানো দিন’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এরপর তিনি ‘সন্ধি’, ‘সন্দেহ’, ‘কারণ’, ‘শর্ত’, ‘সহধর্মিণী’, ‘যোগাযোগ’, ‘বশিরা’, ‘জুলি’, ‘দিল’সহ আরো অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন।