বর্ষীয়ান অভিনেতা মঞ্জুর হোসেনকে এফডিসিতে অশ্রুসিক্ত চোখে ফুলেল শুভেচ্ছায় শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা। গতকাল দুুপুরে এ অভিনেতার মরদেহ এফডিসিতে নেয়া হলে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিভিন্ন ফ্লোরের শুটিং বন্ধ করে সহকর্মীরা তার মরদেহের পাশে ছুটে যান তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। সবার চোখই তখন অশ্রুসজল। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রোডিউসারস অব বাংলাদেশের সভাপতি মামুনুর রশিদ, অভিনেতা-নির্মাতা আলমগীর, অভিনেতা-প্রযোজক নাদের খান, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, ডিরেক্টর গিল্ডসের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু, অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম প্রমুখ। মঞ্জুর হোসেনকে
শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তার সহকর্মীরা। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে।
আমেরিকায় থাকা তার ছেলে আজ দেশে ফিরলে রাজধানীর জুরাইন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, অভিনেতা মঞ্জুর হোসেন শুক্রবার বনানীতে নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। তার জন্ম ১৯৩৭ সালে। সে হিসেব অনুযায়ী বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। মঞ্জুর হোসেন একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ছিলেন। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘রাজধানীর বুকে’। এরপর তিনি ‘হারানো দিন’, ‘পয়সে’, ‘ধারাপাত’, ‘সাত রং’, ‘তালাশ’, ‘শীত বিকেল’, ‘বন্ধন’, ‘মিলন’, ‘কাজল’, ‘নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা’, ‘কাঞ্চন মালা’, ‘ছোট সাহেব’, ‘বাজানা’, ‘রূপবান’, ‘নয়ন তারা’, ‘তুম মেরে হো’, ‘কুলি’, ‘মুক্তি’, ‘সংসার’, ‘নোলক’, ‘শাহজাদী গুলবাহার’সহ আরো অনেক সিনেমায় অভিনয় করেন। তার প্রযোজিত পরিচালিত দুটি সিনেমা হচ্ছে ‘সমাপ্তি’ ও ‘দুটি মন দুটি আশা’।