× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘এটা খুব ভালো বিষয় নয়’

বিনোদন

ফয়সাল রাব্বিকীন
৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার

সুকণ্ঠি সংগীতশিল্পী মৌটুসী পার্থ। দীর্ঘ সময় ধরে দেশীয় গানের জগতে বিচরণ করছেন তিনি। তার গাওয়া বেশ কিছু গানই শ্রোতারা পছন্দও করেছেন। এর বাইরে স্টেজ শোতেও বছরজুড়ে ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। বর্তমানে শো, নতুন গান, টিভি অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত এ শিল্পী। সব মিলিয়ে কেমন আছেন? চলতি সময়টা কেমন কাটছে? উত্তরে মৌটুসী পার্থ বলেন, বেশ ভালো আছি। গান নিয়ে থাকতেই আমি পছন্দ করি। গান নিয়ে থাকলে সময় ভালো কাটে আমার।
আর গানের ব্যস্ততা আমি উপভোগও করি দারুণভাবে। এখন মূলত কী নিয়ে ব্যস্ত? মৌটুসী বলেন, এখন শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। অনেক শো-র আয়োজন চলছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শো করছি। শো নিয়েই এখনকার মূল ব্যস্ততা। শো করতে কেমন লাগে? উত্তরে এ সংগীতশিল্পী বলেন, আমি স্টেজে সব থেকে স্বাচ্ছ্বন্দ্যবোধ করি। কারণ স্টেজেই সরাসরি শ্রোতা-দর্শকের ভালোবাসা পাওয়া যায়। শ্রোতাদের সাড়া কেমন সেটাও জানা যায় স্টেজে। আমি শুরু থেকেই স্টেজ শো করে আসছি। আর তা খুব বেছে বেছে। দেশে-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য শো করেছি। তবে এখনো যখন স্টেজে উঠি তখন মনে হয় প্রথমবার উঠছি! অনেক বেশি ভালোলাগা কাজ করে স্টেজকে ঘিরে। নতুন গান কী করছেন? মৌটুসী বলেন, নতুন একটি গান অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়ে আছে। কিন্তু তাতে কণ্ঠ দেয়া হয়নি। গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছে আরফিন রুমি। রুমির গান আমি ব্যক্তিগতভাবে খুব পছন্দ করি। খুব শিগগিরই হয়তো গানটিতে কণ্ঠ দেয়া হবে। এর বাইরে আরো কয়েকটি নতুন গান করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ সময়ে আপনার আর অন্য ব্যস্ততা কী নিয়ে? মৌটুসী উত্তরে বলেন, অন্য কোনো ব্যস্ততা নেই। আমি সবসময় ব্যস্ত গান নিয়েই। বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের রেকর্ডিংয়ে অংশ নিলাম গত কয়েকদিনে। পাশাপাশি টেলিভিশনের লাইভ শোও করছি। চলতি সময়ে গানের অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? মৌটুসী বলেন, আসলে যুগ বদলেছে। মাধ্যম বদলেছে। অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। তবে ফলাফল কিন্তু একই রকম মনে হচ্ছে। আমাদের বাজার ছোট। সীমাবদ্ধতা হচ্ছে বাংলা ভাষা। কারণ বাংলা ভাষার শ্রোতা ইংরেজি কিংবা হিন্দির চেয়ে কম। এই সময়ে অবস্থা আরও খারাপ বলে মনে হয় আমার কাছে। কারণ আমি নিজেই দেখছি মানুষ এখন বাংলাদেশের কিংবা কলকাতার বাংলা গানও শুনছে না। শুনছে বেশি হিন্দি গান। হাবিব যখন গান শুরু করলো তখন একটা জোয়ার শুরু হয়েছিল বাংলা গানের। কারণ সে নতুন একটা ট্রেন্ড শুরু করেছিল। যার কারণে হিন্দি গানের প্রভাবটা কমে গিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার হিন্দি গান প্রভাব বিস্তার করছে। এটা খুব ভালো বিষয় নয়। মৌটুসী আরো বলেন, আসলে একই ধরনের গান শুনতে শুনতে মানুষ বিরক্ত। হাবিব একটা নতুন ট্রেন্ড নিয়ে এসেছিল। এটা তার কৃতিত্ব। তারপর দেখা গেল যারাই গান করছে সবাই হাবিবকেই অনুুসরণ করছে। ভাঙা-গড়ার কোনো বিষয় নেই। নতুন কিছু করার চেষ্টাও দেখি না তেমন। এই একঘেয়েমি থেকে বের হতে হবে। আপনার কোনো পরামর্শ রয়েছে? মৌটুসী বলেন, আমি পরামর্শ দেয়ার মতো কেউ নই। এখনও শিখছি আমি। তারপরও বলব ভালোবাসার সঙ্গে চেষ্টা, পরিশ্রম, ধৈর্য থাকলে অনেক কিছু করা সম্ভব। এ বিষয়গুলো গানের ক্ষেত্রে আরো বেশি দরকার। আর শেখার মানসিকতাও থাকতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর