× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিশোরগঞ্জ-৩ /দুই জোটের প্রার্থী চুন্নু ও সাইফুল

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার

 কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের মধ্যে একটি আসনে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের দলীয় প্রার্থী দেয়নি। আসনটি হচ্ছে, কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল)। এ আসনে জোটগত ঐক্যের কারণে দুই দলই শরিক দলের প্রার্থীকে জোটের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু। অন্যদিকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী ড. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখানে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল মোহাম্মদ গাউস ও করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন। করিমগঞ্জ ও তাড়াইল উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে বিগত দশটি নির্বাচনের মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনসহ মাত্র দুবার বিএনপি এই আসনে জয়ের স্বাদ পায়। বাকি আটটি নির্বাচনের মধ্যে একবার স্বতন্ত্র, তিনবার আওয়ামী লীগ এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক চারবার জাতীয় পার্টি এই আসনটি নিজেদের দখলে নেয়।
এই চার বারই জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিলেন মো. মুজিবুল হক চুন্নু। এর মধ্যে অবশ্য ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি লড়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থী হিসেবে এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েও শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে নেয় আওয়ামী লীগ। বিগত দু’টি নির্বাচনের মতো এবারের নির্বাচনেও জোটগত ঐক্যের কারণে এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেয়নি। মহাজোট প্রার্থী হিসেবে এখানে নির্বাচনে লড়ছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি দলীয় প্রতীক ‘লাঙ্গল’ নিয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। অন্যদিকে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে বিএনপি প্রথম এই আসনটি নিজেদের দখলে নেয়ার পর ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তা ড. এম ওসমান ফারুককে দিয়ে আসনটিতে বিজয়ীর হাসি হাসে বিএনপি। এবারের নির্বাচনেও সাবেক এই শিক্ষামন্ত্রীর প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটুকু ছাড়া এই আসনে ড. এম ওসমান ফারুকের প্রার্থিতা ছিল অনেকটাই নিশ্চিত। এ রকম পরিস্থিতিতে ২০১৬ সালের ৪ঠা মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান এম সানাউল হক একাত্তরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থাকাকালে ড. এম ওসমান ফারুক স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত  করছে বলে জানান। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই ড. এম ওসমান ফারুক আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে ড. এম ওসমান ফারুকের বিকল্প হিসেবে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল মোহাম্মদ গাউস ও করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন এই দু’জনকে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাদের বাদ দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী শিক্ষাবিদ ও কৃষিবিদ ড. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এর হাতে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক তুলে দেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর