× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রাম-১৬ /মোস্তাফিজের তথ্য গোপন আয় বেশি জাফরুলের

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার

স্ত্রীর নামে পাঁচতলা বাড়ি থাকলেও মূল্য উল্লেখ করেননি। বেসরকারি চাকরির কথা উল্লেখ করলেও ভাতা গ্রহণ এবং সংসদ সদস্য হিসেবেও সম্মানী ভাতা গ্রহণের কোনো তথ্য দেননি চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান।
শুধু তাই নয়, আদালতে মামলা থাকলেও হলফনামায় মামলার কোনো তথ্য দেননি। স্থাবর সমপদের মধ্যে নিজের বা স্ত্রী অথবা নির্ভরশীলদের নামে কোনো বাড়ির কথাও উল্লেখ করেননি তিনি। আর বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর সমপদ সীমিত হলেও আয় বেশি দেখিয়েছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। জাফরুল ইসলাম চৌধুরী হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৫ হাজার ৩৬০ টাকা। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আয় দেখিয়েছেন ৪৯ লাখ ৬২ হাজার ৩১৮ টাকা।
১০ বছরে তার আয় বেড়েছে ২.৪১ গুণ। নিজের নামে নগদ টাকা দেখিয়েছেন ৯ লাখ ৮১ হাজার ৫২ টাকা। এরমধ্যে জমাকৃত টাকা ৫ লাখ। স্ত্রীর নামে রয়েছে ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৪১০ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে স্ত্রীর নামে আছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়ার। নিজের নামে ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৯৯৫ টাকা দামে দুটি জিপ গাড়ি রয়েছে। নিজের নামে ২০ হাজার ও স্ত্রীর নামে ৫ হাজার টাকার স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু-পাথর রয়েছে। নিজের নামে ২ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী আছে। নিজের নামে ২৬ হাজার ৫শ’ টাকা ও স্ত্রীর নামে ২৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। অন্যান্য সম্পদ রয়েছে ১৭ লাখ টাকার। স্থাবর সমপদের মধ্যে কৃষি জমির আর্থিক পরিমাণ ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৯৮ টাকা। আবাসিক বা বাণিজ্যিক দালানের আর্থিক পরিমাণ নিজের নামে ৬৬ লাখ ৯ হাজার ১৭৬ টাকা। স্ত্রীর নামে এক কোটি ৭৬ লাখ ৭২ হাজার ১০০ টাকা। কৃষি জমি ও দালানের আর্থিক পরিমাণ উল্লেখ করা হলেও জমির পরিমাণ উল্লেখ নেই। আর গত পাঁচবছরে ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা দামের প্রাডো গাড়ির মালিক হয়েছেন এমপি মোস্তাফিজুর রহমান। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনী হলফনামায় নিজের নামে গাড়ি প্রযোজ্য নয় দেখিয়েছেন তিনি। স্ত্রীর নামে পাঁচতলা বাড়ি থাকলেও স্থাবর সমপদের মধ্যে তিনি তা উল্লেখ করেননি। হলফনামায় আয়ের উৎস দেখিয়েছেন কৃষিখাত। ২০১৪ সালে এ খাত থেকে বছরে আয় ১৫ হাজার টাকা দেখালেও এবার দেখিয়েছেন ৪৫ হাজার টাকা। পাঁচবছরে এ খাতে তার আয় বেড়েছে তিনগুণ। পেশা হিসেবে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স কোমপানির ঢাকা প্রধান কার্যালয়ের পরামর্শক ও বেসরকারি চাকরির কথা উল্লেখ করলেও কোনো সম্মানী বা ভাতা গ্রহণের কথা উল্লেখ করেননি। সংসদ সদস্য হিসেবেও সম্মানী ভাতা গ্রহণের কোনো তথ্য তিনি  দেননি। শুধু তাই নয়, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী হলফনামায় মামলার কোনো তথ্য দেননি। অথচ ২০১৬ সালের ২রা জুন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করা হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ২০১৪ সালে হলফনামায় অস্থাবর সমপত্তির আর্থিক পরিমাণ দেখিয়েছেন ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৯৭৭ টাকা। এবার দেখিয়েছেন এক কোটি ৪০ লাখ টাকা। পাঁচবছরে তার সমপদ বেড়েছে ১.৯৬ গুণ। অস্থাবর সমপদও দেখিয়েছেন এক কোটি ৪০ লাখ টাকার। এরমধ্যে নিজের নামে ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার। স্ত্রীর নামে পাঁচতলা বাড়ি থাকলেও মূল্য উল্লেখ করেননি তিনি। অস্থাবর সমপদের মধ্যে নিজের নামে ৩৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ১০ লাখ টাকা নগদ রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ নিজের নামে ১০ লাখ ও স্ত্রীর নামে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ি, মোটরসাইকেল বিবরণীতে নিজের নামে টয়োটা প্রাডো জিপ গাড়ি উল্লেখ করেছেন। যার মূল্য ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। নিজের নামে একলাখ টাকা ও স্ত্রীর নামে দুইলাখ টাকার স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু রয়েছে। নিজের নামে ৫০ হাজার ও স্ত্রীর নামে ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে। এ ছাড়া ৫০ হাজার টাকা করে দুইজনের নামে একলাখ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। স্থাবর সমপত্তির মধ্যে পৈতৃকসূত্রে পাওয়া নিজের নামে চার একর কৃষিজমি আছে। অকৃষি জমির মধ্যে আছে রাউজকে তিনকাঠা জমি। যার আর্থিক মূল্য ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪শ’ টাকা দেখিয়েছেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর