গণতন্ত্র শুধু একদিনের ভোটের ব্যবস্থা নয়। গণতন্ত্র হচ্ছে প্রতিদিনের জবাবদিহিতা- প্রতিক্ষণের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, প্রতিদিনে, প্রতিক্ষণে আমরা গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ করছি, জড়িয়ে যাচ্ছি। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ অডিটোরিয়ামে গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন আয়োজিত বাজেট অলিম্পিয়াড-২০১৮ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন ড. প্রীতম পাল মজুমদার, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলন-এর সহ-সভাপতি আসগর আলী সাব্বির, গবেষণা সম্পাদক মনোয়ার মোস্তফা, ড. একেএম নজরুল প্রমুখ। এসময় এক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিদিনের গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা তৈরি ও বাস্তবায়ন করছে তরুণরা। শুধুমাত্র একটি দিনের গণতন্ত্র নিয়ে আমরা যেন আবিষ্ট না হই। প্রতিক্ষণ, প্রতিদিন, প্রতিমাস, প্রতিবছরের গণতন্ত্রের চর্চা যেন আমরা করি।
আজকের বিতর্ক সে চর্চারই মাধ্যম একটি। অধ্যাপক আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন উৎক্ষেপণ পর্যায়ে রয়েছে। এখন সময় দেশের বাজারের চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে শিল্পখাতের বিকাশ ও এজন্য প্রয়োজনীয় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করা। জাতীয় বাজেটে কী ধরনের প্রকল্প, কতগুলো বরাদ্দ রাখা গেলে মধ্যম থেকে দীর্ঘমেয়াদি এ বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, ব্যক্তিখাতের অংশীজন সর্বোপরি তরুণদের মতামত আলোচনা- পর্যালোচনায় উঠে আসা দরকার। তিনি বলেন, নাগরিকদের পক্ষ থেকে বাজেট পর্যালোচনায় তরুণদের জন্য যথেষ্ট কর্মসংস্থান এবং তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির বিষয়গুলো আলাদা গুরুত্বের দাবি রাখে।
জাতীয় বাজেটে কী ধরনের প্রকল্প, কর্মসূচি বা উৎসবের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা গেলে সেগুলো কর্মসংস্থান ও উদ্বেগ তৈরিতে সহায়ক হবে তা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলাদা করে একটা ইনোভেশন অ্যান্ড এন্টারপেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থাকা উচিত। এ ল্যাবে তরুণরা উদ্যোক্তা হবে। তারা শুধু চাকরির পেছনে ছুটবে তা নয়। তারা এক একজন উদ্যোক্তা হবে। তারা চাকরি দেবে। নেয়ার জন্য অত উৎসাহী তারা হবে না। অধ্যাপক আতিউর বলেন, কাজেই প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়কে ইনোভেশন ল্যাব, ইনোভেশন কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। তারা এ অর্থ কোথায় পাবে? এ অর্থ আসতে হবে একটা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে রিচার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে। শুধু সরকার কেন একা দেবে ফান্ডে আমাদের ব্যক্তিখাতের সিএসআর যুক্ত হতে পারে।