আসন্ন নির্বাচনে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া-পীরগাছা, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জের চার হেভিওয়েট প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে ধনী আওয়ামী লীগের এইচএন আশিকুর রহমান। সবচেয়ে বেশি ৯৩ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে জাতীয় পার্টির নতুন মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গার। রংপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপু মুন্সির নিজ নামে কোনো টাকা নেই। রংপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তার নামে কোনো কৃষি কিংবা ও অকৃষি জমি নেই বলে জানিয়েছেন। জেলা নির্বাচন অফিসে এসব প্রার্থীদের জমা দেয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। হলফনামায় দেখা যায়, রংপুর-১ আসনে মহাজোটের প্রার্থী রাঙ্গার ব্যাংক ঋণ রয়েছে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪১৫ টাকা। তবে তার নামে কোনো মামলা নেই। কৃষি খাত থেকে তার আয় দেখানো হয়েছে বছরে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৩৮ টাকা।
এ ছাড়া বাড়ি ভাড়া পান ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৮৭ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৪৪ লাখ ৬৯ হাজার ৩৫ টাকা। চাকরি খাতে তার আয় দেখানো হয়েছে ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৮০ টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাতে আয় রয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩৩২ টাকার। রাঙ্গার স্থাবর সম্পদ, কৃষি জমি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক দালান ও ফিলিং স্টেশন রয়েছে। যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। পেশা দেখানো হয়েছে পরিবহন মালিক ও ব্যবসায়ী। রংপুর-৪ কাউনিয়া-পীরগাছা আসনের প্রার্থী টিপু মুন্সির নিজ নামে কোনো নগদ টাকা ও কৃষি জমি নেই। চাকরি খাতে তার আয় দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রয়েছে ৩৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬৬৬ টাকা। স্ত্রীর নামে বন্ড, শেয়ার বাজারে রয়েছে ৪ কোটি ৫১ লাখ ৬১ হাজার টাকা। স্বর্ণ রয়েছে ৬০ হাজার টাকার এবং আসবাবপত্র রয়েছে ৪০ হাজার টাকার। অন্যদিকে রংপুর-৫ মিঠাপুকুর আসনের আশিকুর রহমান জেলার প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী। হলফনামায় তিনি কৃষি খাতে জমি দেখিয়েছেন ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার। ব্যবসায় রয়েছে ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র রয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ টাকার। চাকরি পারিতোষিক খাতে আয় দেখানো হয়েছে ৬ কোটি ৬০ হাজার টাকা। অন্যান্য খাতে ৭৮ হাজার টাকা আয় দেখানো হয়েছে। তার কাছে নগদ রয়েছে ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা ও স্বর্ণ আছে ৪০ ভরি। রংপুর-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার হলফনামায় বছরে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া থেকে আয় দেখিয়েছেন ৪৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার। পেশা দেখানো হয়েছে শিক্ষক, আইন ও পরামর্শক। এসব খাতে তার বছরে আয় হয় ২৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া অন্যান্য খাতে তার আয় আরো ৯১ হাজার টাকা। নিজ নামে নগদ রয়েছে ২৭ লাখ ৭২ হাজার ১০০ টাকা এবং স্বামীর নামে রয়েছে ১০ লাখ ১৯ হাজার টাকা। স্বর্ণ ও অন্যান্য অলংকার রয়েছে ৩০ ভরি। তবে তার নামে কোনো কৃষি বা অকৃষি জমি নেই।