× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যেখানে মাশরাফির ভয়!

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হেসেখেলে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। এবার ওয়ানডে সিরিজে একই প্রত্যাশা। ৫ মাস আগেই ক্যারিবীয়দের মাটিতে ২-১এ ওয়ানডে সিরিজ জিতে এসেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। যে কারণে বেড়েছে প্রত্যাশাও। কিন্তু টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি কোনোভাবেই সহজ ভাবছেন না বিষয়টিকে। বরং ক্যারিবীয়দের নিয়ে আছে তার নানা ভয়। সেই সঙ্গে শীতের শিশিরও এই ম্যাচে আরেক প্রতিপক্ষ। সব মিলিয়ে টেস্টের মত সহজ হবে না ওয়ানডে সিরিজ এমন আগাম সতর্কতা জানিয়েছেন তিনি।
ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘এখনও ওয়ানডের একটাও ম্যাচ শুরু হয়নি। হোয়াইটওয়াশ তো মাথায় আসার সুযোগ নাই। তবে প্রথম ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। দেখা যাক কাল (আজ) কেমন হয়।’

কেন ক্যারিবীয়দের নিয়ে এমন ভয়! নিজেদের মাটিতে এই ভয়ের কারণ থাকার কথা নয়। কিন্তু মাশরাফি তুলে ধরেন বাস্তবতা। বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসলে, মাসল পাওয়ার তাদের অনেক বেশি। এই ধরনের ফরম্যাটে একজন দুজন কিন্তু গেইম চেইঞ্জ করে, রিসেন্টলি। এই জায়গাটায় ওদের কয়েকজন আছে এমন ডিস্ট্রয় করতে পারে। আমাদের ওদের বিপক্ষে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি। ওদের জন্য ফরম্যাট যত ছোট হবে তত বেশি সুট করবে। আমার কাছে মনে হয় প্রথম ম্যাচের দিকে ফোকাস থাকাই বেটার।’ প্রস্তুতি ম্যাচে জিতলেও যে  মূল ম্যাচের লড়াই ভিন্ন তা ভালো করেই জানেন মাশরাফি। যে কারণে তিন ম্যাচের জয়ের ভাবনায় না ঢুকে একটি একটি ম্যাচে এগিয়ে যাওয়াই পরিকল্পনা অধিনায়কের। তিনি বলেন, ‘একটা একটা ম্যাচ ভাবা ছাড়া সুযোগ নেই। প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে তিনটা ম্যাচ নিয়ে ভাবলে অনেক চাপ আসে। প্রস্তুতি ম্যাচের উইকেট যেমন ছিল, এখানে উইকেট ওরকম থাকার কথা না। কারণ, এখানে তিনশ রানের খুব কমই হয়। সেক্ষেত্রে ভলিউমটা ভিন্ন হতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রস্তুতি ম্যাচে যেটা আত্মবিশ্বাস দরকার ছিল, যা যা দরকার ছিল করতে পেরেছি। এখন আসল কাজ শুরু কাল (আজ) থেকে।’

তবে নিজের দলের শক্তি নিয়েও বেশ আত্মবিশ্বাসী টাইগার অধিনায়ক। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল দলে ফেরায় স্বস্তিতে আছেন তিনি। তবে তাদের ফেরায় নেই আত্মতুষ্টি। কারণ অধিনায়ক জানেন ইনজুরি থেকে ফিরে খুব সহজেই মানিয়ে নেয়া কঠিন নয় যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সাকিব ও তামিম দলে থাকা আমাদের জন্য বিরাট অ্যাডভান্টেজ। প্রস্তুতি ম্যাচেও তামিম দারুণ খেলেছে, এটা তামিমের জন্যও স্বস্তি, আমাদের জন্যও স্বস্তি। আমি একইসঙ্গে বলব যে ইনজুরি থেকে আসা এবং এসে পারফর্ম করা কিন্তু সময়ের ব্যাপার। তামিমের আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছে বলে প্রত্যাশা করতে পারেন না যে পরের ম্যাচে নেমেও এক্সট্রা অর্ডিনারি ইনিংস খেলবে। আবার এর থেকে বেটারও খেলতে পারে, খারাপও হতে পারে। চোট থেকে ফিরলে কিন্তু বেশ কিছু দিন লাগে মানিয়ে নিতে। দুই থেকে আড়াই মাস পর্যন্ত বাইরে ছিল। সো এটা গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব হয়তো দুইটা টেস্ট ম্যাচ খেলে কিছুটা মানিয়ে নিয়েছে। তামিমের হয়তো কিছুটা সময় লাগতে পারে। কিন্তু ওরা দুজন থাকা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক ব্যাপার।’

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খেলা হলেই আলোচনা আসে উইকেট নিয়ে। টেস্ট হোক আর ওয়ানডে মিরপুরের রহস্যময় উইকেট বড় ভূমিকা রাখে যেকোনো দলের ভাগ্য নির্ধারণে। স্বাভাবিকভাবেই গতকাল উঠে আসে উইকেট প্রসঙ্গ। তার ওপর যোগ হয়েছে শিশিরের আতঙ্ক। টাইগার অধিনায়ক বলেন, যখন ডিউ থাকবে। তা কতটা প্রভাব ফেলবে সেটা কিন্তু অনেক কিছু ম্যাটার আসলে। দিন রাতের খেলায় এই টাইমটায় আপনার ডিউ এফেক্টটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্পিনাররা কতটুকু সাহায্য পাবে। তবে আমাদের পেস বোলাররাও ভালো ব্যাকআপ করছে। আপনি যদি ২০১৫ থেকে দেখেন। আমরা একটা রিদমে খেলছি। তিনজন পেস বোলার সব সময় খেলছি। এমনকি কখনো চারজন খেলানো হচ্ছে। সো টেস্ট ম্যাচের ওপর বেস করে আপনি ডিসাইড করতে পারবেন না। আপনাকে ওইভাবে খেলতে হবে। আমি স্টিল তিনজন পেস বোলার খেলাতে চাই এটা নিশ্চিত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর