× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মমতার আঁকা ছবি বিক্রির টাকার হদিস পেতে অফিস সচিবকে নোটিশ সিবিআইয়ের

দেশ বিদেশ

কলকাতা প্রতিনিধি
৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার

নারদা ঘুষকাণ্ড, সারদা রোজভ্যালি চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে অনেক তৃণমূল নেতাকেই জেরা করা হয়েছে। এমনকি গ্রেপ্তারও করা হয়েছে কয়েকজন সাংসদকে। কিন্তু  গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট কখনোই মুখ্যমন্ত্রীর নামে বা তার বাড়িতে চিঠি পাঠানোর সাহস দেখায় নি। এবার সেটাও ঘটেছে। সিবিআইয়ের নোটিশ গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অফিসে ৪০ বছর ধরে সচিবের কাজ করা মানিক মজুমদারকে সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজির হওয়ার চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই চিঠি গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সির কাছেও। তৃণমূলের এক সাবেক সাংসদকেও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, দলীয় মুখপত্রের তহবিলের স্বাক্ষরকারীরা হলেন- ডেরেক ও’ব্রায়েন, মানিক মজুমদার এবং দলের রাজ্যসভার এক সাবেক সাংসদ।  ১০ থেকে ১৩ই ডিসেম্বর পর পর এদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপকে  ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে অভিহিত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেউই হাজিরা দেবেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি চাপ দিয়ে ‘বশ্যতা’ স্বীকার করাতে চাইছে।
তাই তারা এই প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে লড়াই করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিবিআইয়ের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের  মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র তহবিল যারা রক্ষণাবেক্ষণ করেন, তাদেরই  নোটিশ দেয়া হয়েছে। আয়কর দপ্তর কিংবা ব্যাংকে সর্বত্র দলীয় মুখপত্রের ঠিকানা দেখানো হয়েছে, ৩০ বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। সেই কারণেই  মানিকবাবুকে ওই ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে নোটিশ যাওয়ার পর কলকাতা পুলিশের এক কর্তা তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, মানিক মজুমদার ওই ঠিকানায় থাকেন না। ওটি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি। এরপর অবশ্য সিবিআই মানিকবাবুর বাড়ির ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়েছে। সিবিআই সূত্রের খবর, আট বছর আগে মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবির দু’টি প্রদর্শনীতে ছবি বিক্রির টাকা শাসক দলের মুখপত্রের তহবিলে জমা পড়েছিল। সিবিআইয়ের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি যেমন বিশিষ্টজনেরা কিনেছিলেন, তেমনই  বেশ কয়েকজন বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার মালিকও কিনেছিলেন। সিবিআইয়ের দাবি, সেই সব ছবি কেনা হয়েছিল অন্য ব্যক্তিদের সামনে  রেখে। তারা মুখপত্রের তহবিল পরীক্ষা করে  দেখেছে, ছবি কিনতে অন্তত ৩০ লাখ রুপি সারদা-রোজভ্যালির মতো সংস্থা থেকে গিয়েছিল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর