জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়াতে দিনে ১২ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন কমিয়ে দিতে একমত হয়েছে তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক ও অন্য ১০টি তেল উৎপাদনকারী দেশ। ভিয়েনায় ওপেকের প্রধান কার্যালয়ে দু’দিনের আলোচনা শেষে এ সংগঠনের জ্বালানি মন্ত্রীরা ওই সিদ্ধান্তে এসেছেন। তাদের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ১লা জানুয়ারি থেকে। তবে এরই মধ্যে বিশ্ব তেলবাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ভিয়েনায় ওই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইরাকের তেল বিষয়ক মন্ত্রী থামির আব্বাস আল ঘাধবান। তিনি বলেন, আমরা দিনে ১২ লাখ ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করবো। তার মতে, বিশ্বে যে পরিমাণ তেল উত্তোলন হয় সেই তুলনায় এই ১২ লাখ ব্যারেল তেল শতকরা এক ভাগের সামান্য ওপরে। উল্লেখ্য, ১৪ জাতির সংগঠন ওপেক দিনে উত্তোলন কমাবে ৮ লাখ ব্যারেল।
আর ওপেক সদস্য নয়, রাশিয়াসহ এমন ১০টি দেশ তেলের উত্তোলন কমাবে ৪ লাখ ব্যারেল। ওপেক ও তার অংশীদাররা যে পরিমাণ তেল উত্তোলন করে তা বিশ্বের মোট তেল উত্তোলনের প্রায় অর্ধেক। তাদের মতে, অতিরিক্ত তেল উত্তোলনের ফলে দুই মাসে তেলের দাম পড়ে গেছে শতকরা ৩০ ভাগেরও বেশি। শুক্রবার ওপেক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে ইরান নেই। এ দেশটি তার জ্বালানি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তেল উত্তোলনের ক্ষেত্রে কোনো সীমা মানবে না। তাই ওপেকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সংযুক্ত আরব আমিরাতের তেল বিষয়ক মন্ত্রী বিজন নামদার জাঙ্গাঞ্চ বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তেল উত্তোলন কমিয়ে দেয়ার এ সিদ্ধান্তের অংশ নয় ইরান। ওদিকে তেল উত্তোলন কমিয়ে দেয়ার এ খবরে বিশ্ব তেলের বাজারে অশোধিত তেলের দাম বেড়ে গেছে। শুক্রবার ইউরোপের বাজারে অশোধিত তেলের দাম বেড়ে গেছে শতকরা ৫ ভাগ। তবে অনেকে মনে করছেন, তেল উত্তোলন কমিয়ে দেয়ায় এর দাম বৃদ্ধি পাবে না।