× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

২৬ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার

 আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গণতান্ত্রিক, মানবিক ও দায়বদ্ধ রাষ্ট্র ও সমাজ কায়েমের অধিকার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে-২৬ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ সংহতি মিলনায়তনে দলটির সভাপতি ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম সমন্বয়ক সাইফুল হক এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল হক বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গুরুত্বপূর্ণ কোনো দাবি অর্জিত না হলেও, দেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় ও ভোটাধিকার প্রয়োগে জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার পাশে দাঁড়াতে ও  আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। তিনি বলেন, বর্তমান দুঃসহ অবস্থার বিরুদ্ধে জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ ক্রমে প্রবল হয়ে উঠছে।
দফাগুলো হলো- ১. সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্রের উৎস সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল, বহুদলীয় অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন। ২. রাষ্ট্রের আইন বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যকার উপযুক্ত ভারসাম্য নিশ্চিত করা এবং নির্বাহী বিভাগ কর্তৃক বিচার বিভাগ নিয়ন্ত্রণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ তৎপরতা রোধ করা। ৩. সাংবিধানিক কমিশনের মাধ্যমে সাংবিধানিক পদে নিয়োগের বিধান চালু করা। ৪. কোনো অজুহাতেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংগঠিত হবার স্বাধীনতা খর্ব না করা।
৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অগণতান্ত্রিক ও নিবর্তনমূলক ধারাসমূহ বাতিল করা। ৬. বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ সকল রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধ করা। সমস্ত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের বিচার করা। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশি হামলা-হস্তক্ষেপ, রিমান্ডের নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ও রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা রোধ করা। ৭. ধর্মীয় ও জাতিগত ভিন্নতার কারণে যাবতীয় বৈষম্য দূর করা। ৮. শাসন পদ্ধতির কার্যকরী গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন করা। ৯. কালো টাকা ও পেশীশক্তি নির্ভর নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কার করা। ১০. ভোট প্রয়োগে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাধা প্রদানকে শাস্তিযোগ্য গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা। ১১. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ১২. দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস, দুর্বৃত্তায়ন ও দলীয়করণ বন্ধ করা। ১৩. কর্মসংস্থান, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও দারিদ্র্যের অবসান ঘটানো। ১৪. গ্রামীণ ও কৃষিখাতের অগ্রাধিকার। ১৫. শ্রমিক ও শিল্পখাতের বিকাশ সাধন করা। ১৬. শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্যসেবাসহ সামাজিক খাতসমূহকে গুরুত্ব প্রদান করা। ১৭. নারীর সমঅধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন বৃদ্ধি করে প্রত্যক্ষ নির্বাচন ও ‘ইউনিফর্ম সিভিল কোড’ চালু করা। ১৮. শিশু-কিশোর-বৃদ্ধ-দুস্থদের অধিকার নিশ্চিত করা। ১৯. বাস্তুহীনদের বাসস্থান ও বাড়িভাড়া আইন কার্যকরী করা। ২০. প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষা করা। ২১. জাতীয় সম্পদ রক্ষা, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সুন্দরবনবিনাশী রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ স্থগিত করা। ২২. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা। ২৩. প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য সংরক্ষণের নীতি প্রবর্তিত করা, পরিবেশ আদালত গঠন করা। ২৪. জাতীয় স্বার্থে অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়ন করা। ২৫. জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পেশাদার সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি দেশের সক্ষম তরুণ-তরুণীদের সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানসহ গণপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়ও তারা কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। ২৬. সমতা, ন্যায্যতা, আন্তর্জাতিক আইন ও পারস্পরিক স্বার্থের স্বীকৃতির ভিত্তিতে তিস্তার পানি বণ্টন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোসহ যাবতীয় দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান করা। দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা বিরোধী চুক্তিসমূহ বাতিল করা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর