× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জয়ের কক্ষ পথে থাকার লড়াই

শেষের পাতা

ইশতিয়াক পারভেজ
৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার

বছরের শুরু থেকে এই পর্যন্ত ১৭ ওয়ানডের ১১টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। বিদেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ও দেশে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এসেছে সিরিজ জয়। এক কথায় ওয়ানডে ক্রিকেটে দারুণ বছর কেটেছে বাংলাদেশের। সেই সঙ্গে আছে এশিয়া কাপ ও  দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল হারার আক্ষেপও । তবে এবার বছরের শেষটা জয়ে রাঙানোর দারুণ সুযোগ। আজ থেকে শুরু হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। প্রথম ম্যাচ থেকেই মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের শুরু হচ্ছে জয়ের কক্ষ পথে থাকার লড়াই। তাই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা চান শেষটাও জয়ের রংয়ে রাঙাতে।
বলেন, ‘এই বছরে আমাদের পারসেন্টেজ অনেক ভালো, স্রেফ দুইটা ফাইনাল বাদ দিলে। অভিয়েসলি এখানে একটা ফাইনাল জিততে পারলে ভালো হতো, স্পেশালি এশিয়া কাপ ফাইনাল। এ ছাড়া আমার কাছে মনে হয় এই বছর রেটিং খুব ভালো আছে। আর অবশ্যই, ভালোভাবে শেষ করতে পারলে খুব ভালো হবে। বিশেষ করে সামনের বছর শুরু থেকে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। শেষটা ভালো করলে এই বছরটা খুব ভালো যাবে।’ মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে দুপুর ১টায় ম্যাচটি শুরু হবে টাইগারদের অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়েও।

এরই মধ্যে বাংলাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। সঙ্গে রাতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশিরের হানা। ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচেই থাকবে এই শিশিরের দারুণ প্রভাব। যে কারণে ম্যাচের সময় পরিবর্তন করে এক ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে। তার পরও উইকেট, দলের একাদশ এমনকি টসের সিদ্ধান্তও নির্ভর করবে এই শিশিরের ওপরই। অধিনায়ক মাশরাফি বলেছেন যদি বেশি শিশির পড়ে সেই ক্ষেত্রে আগে বোলিং নেয়াটাই উত্তম। কারণ পরে বল করতে গেলে হাত ভিজে যাবে। এতে করে বোলারদের বল গ্রিপ করা কঠিন হয়ে যাবে। বিশেষ করে স্পিনারদের। আবার শিশির কম হলে ব্যাটিং নেয়াটাই নিরাপদ। কারণ একটি লক্ষ্য ঠিক করে দিয়ে তাদের বেঁধে ফেলা সহজ হবে।

একাদশটাও সাজানো হচ্ছে সেই ভাবনা থেকেই। তামিম ইকবাল ফেরাতে তার সঙ্গী হিসেবে শেষ পর্যন্ত কে আসছে তা অধিনায়ক পরিষ্কার করে জানাননি। তবে বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশন ধরে রাখতে চাইলে লিটন কুমারই হতে পারে আরেক ওপেনার। সেই ক্ষেত্রে ইমরুল কায়েসের  শেষ ওয়ানডে সিরিজে থাকার পরও বসে থাকতে হতে পারে সাইড বেঞ্চে। আবার ফর্ম বিবেচনা করে শেষ পর্যন্ত ইমরুলই টিকে যেতে পারেন। তিনে সৌম্য সরকারের খেলা অনেকটা নিশ্চিত। চারে মুশফিক আর পাঁচে সাকিব আল হাসান ও ছয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের কোনো বিকল্প নেই। সাতে দলের ব্যাটিং সামলাবেন কে! এখানে মেহেদী হাসান মিরাজের পক্ষে ইঙ্গিত দিয়েছেন অধিনায়ক। তিনি বলেছেন দলে এমন দুইজন স্পিন বোলার আছে যারা ব্যাটও করতে পারে। তার মানে একজন সাকিব ও অন্যজন মিরাজ। যদি মিরাজ এখানে খেলেন তাহলে আরিফুল হকের এই ম্যাচে খেলা হচ্ছে না।

বোলিংটাও শিশিরের ওপর নির্ভর করে আক্রমণ সাজাতে হবে। অধিনায়ক বলেছেন, তিন পেসার নিয়ে তিনি মাঠে নামতে চান। এর কারণও দুটি। প্রথম কারণ হলো গেল কয়েক বছর পেসাররা দারুণ সাফল্য এনে দিয়েছে। আর একটা কারণ শিশিরের কারণে স্পিনারদের চেয়ে পেসারদের কার্যকারিতা বেশি থাকবে। তাই অধিনায়কের সঙ্গে আরো দুই পেসার কারা? মোস্তাফিজুর রহমানের খেলা একেবারেই নিশ্চিত। এবার লড়াইটা হবে সাইফ উদ্দিন ও রুবেল হোসেনের মধ্যে। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে রুবেলের খেলা হয়নি। সেখানে সাইফ উদ্দিন ব্যাটে বলে দারুণ করেছেন।

কিন্তু মাশরাফির কাছে রুবেলই ওয়ানডের সেরা অস্ত্র। আর বিশ্বকাপের আগে রুবেলকে আরো একবার পরীক্ষাও দিতে হবে। আটে মাশরাফি, নয়ে মোস্তাফিজ ও দশে রুবেল/সাইফ উদ্দিন হলে প্রশ্ন থাকছে ১১ নাম্বারে কে! একজন বাড়তি বাঁহাতি স্পিনার? নাকি একজন ব্যাটসম্যান? যদি স্পিনার হন তাহলে নাজমুল ইসলাম অপু। তবে তার সম্ভাবনা একেবারেই কম। সেই ক্ষেত্রে একজন ব্যাটসম্যান বাড়ালে প্রবল সুযোগ থাকবে মিঠুন কিংবা লিটনেরই। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কিছুটা হলেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা থাকবে এই একাদশেও। তবে সেটি ঝুঁকি না নিয়ে।
অন্যদিকে জয়ে ফিরতে দারুণভাবে মুখিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। তাদের শেষ ওয়ানডে সিরিজ জয় এসেছিল নিজেদের মাঠে ২০১৪তে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এরপর দেশে-বাইরে ১৩ সিরিজে একটি ড্র বাকি সব হার। সবশেষ এ বাংলাদেশের বিপক্ষেও হেরেছে তারা তাও নিজেদের মাঠে। তাই ক্যাবিবীয় অধিনায়ক জয়ে ফেরারই হুঙ্কার দেননি ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রতিশোধ নেয়ারও।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর