× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন / ‘আবৃত্তিকার শারমিন লাকী শুনতেই বেশি ভালো লাগে’

বিনোদন

কামরুজ্জামান মিলু
৯ ডিসেম্বর ২০১৮, রবিবার

মডেলিং এবং উপস্থাপনার পাশাপাশি শারমিন লাকীর আবৃত্তিতেও রয়েছে বেশ সুনাম। শোবিজে অনেক পরিচয় যুক্ত হলেও তিনি নিজেকে মূলত আবৃত্তির মানুষ ভাবতেই বেশি ভালোবাসেন। আবৃত্তির সংগঠন ‘তাইরে নাইরে না’ নিয়ে এখনও বেশ ব্যস্ত তিনি। গতকাল এই সংগঠনের প্রযোজনায় ‘জল বেহুলার দেশ’ মঞ্চস্থ হয়েছে। এটি মঞ্চস্থ হয়েছে বনানীর যাত্রাবিরতিতে। শারমিন লাকী বলেন, একটা সময় কবিতার সংগঠন ‘এই সময়’-এর সদস্য ছিলাম। মূলত আসাদুজ্জামান নূর ভাইয়ের সংগঠন ছিল এটি। একসঙ্গে আমরা অনেকদিন কবিতা চর্চা করেছি।
অনেকদিন পর আবারো কবিতা নিয়ে ফিরলাম। গতকাল যে ‘জল বেহুলার দেশ’ মঞ্চস্থ  হলো সেখানে কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ, সৈয়দ শামসুল হক ও মনিরুজ্জামানের কবিতাগুলো পাঠ করা হয়েছে। এতে বেশ সাড়া পেয়েছি। এর নির্দেশনায় ছিলেন বাচিকশিল্পী ড. বিপ্লব বালা। রচনা ও গ্রন্থনা করেছেন মনিরুজ্জামান। পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলাম আমি। বলতে গেলে নদীমাতৃক বাংলার মানুষের জীবন-জীবিকা, ঘর-সংসার-সম্পর্ক, তাদের লোক সংস্কৃতির খন্ডচিত্র হচ্ছে ‘জল বেহুলার দেশ’। তিনি আরো বলেন, পড়াশোনা, কর্মজীবন ও সংসারের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে আবৃত্তিচর্চা থেকে সরে গিয়েছিলাম। এখন নতুন করে আবার এর প্রতি টান অনুভব করছি। আবৃত্তির পুরানো মানুষগুলোকে ফিরে পেয়েছি। তাই আবার নতুন করে শুরু করছি। ‘তাইরে নাইরে না’ সংগঠনটি নিয়ে জানতে চাইলে শারমিন লাকী বলেন, মূলত শিশুদের জন্য ও শিশুদের নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে এটি করা। আর এ সংগঠন সবার জন্য উন্মুক্ত। চাইলে যে কেউ এখানে কাজ করতে পারবে। আমাদের গতকালের পরিবেশনায় পাঠাভিনয় করেছেন মুনিরুজ্জামান, সৈয়দ ফয়সল, শাহানা সুমি, তিথি, সোমনাথ। এতে সংগীত পরিচালনা করেছেন রিজভি রিজু এবং শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন সৌরভ দাস। অল্প সময়ের পরিবেশনা হলেও সকলে এটি বেশ উপভোগ করেছে। আমরা সামনে আরো কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিব। আর সত্যি বলতে শিশুদের জন্য তেমন কাজ হয় না। এ অঞ্চলের সমৃদ্ধ শিশুসাহিত্যগুলো প্রায় বিস্মৃত হতে বসেছে। সেগুলোকে নতুন করে সবার সামনে তুলে আনতেই কাজ করবে ‘তাইরে নাইরে না’। গত বছর এনটিভির রান্না নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘রূপচাঁদা-দ্য ডেইলি স্টার সুপার শেফ ২০১৭’-এর প্রধান বিচারকদের মধ্যে একজন ছিলেন শারমিন লাকী। এছাড়া আরটিভির ‘লাক্স ব্রাইডাল শো’ উপস্থাপনা করার পর বেশ সাড়া পান তিনি। বিজ্ঞাপনেও মাঝে মাঝে দেখা যায় তার মুখ। তাই তার কাছে প্রশ্ন ছিল সামনের ব্যস্ততা কি কি ? এ প্রশ্নের জবাবে মিষ্টি হেসে তিনি বলেন, আবৃত্তি দিয়ে শুরু করেছিলাম, আবৃত্তি দিয়েই শেষ করতে চাই। আমার পরিচয় আবৃত্তিকার শারমিন লাকী শুনতেই বেশি ভালো লাগে। আরটিভির ‘লাক্স ব্রাইডাল শো’র অনুষ্ঠানে বউ সেজে উপস্থাপনা করেছিলাম। এটা ছিল খুব কঠিন একটা কাজ। এছাড়া একটা সময় সিদ্দিকা কবীর আপার সঙ্গে আমার রান্নার অনুষ্ঠানটি দর্শকরা দারুণ পছন্দ করে। এরপর বাংলাভিশনে ক্যারিয়ার শো ‘আপনার আগামী’ও দারুণ ভালো লেগেছে দর্শকের। আসলে দর্শকরা পছন্দ করলে অনেক অনুষ্ঠানই সামনে এগিয়ে নেয়া যায়। আপনাকে উপস্থাপনা ও বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে দেখা গেলেও কখনো অভিনয়ে দেখা যায়নি। কারণ কী? এর উত্তরে শারমিন লাকী বলেন, অভিনয় আমার কোনো কালেই টার্গেট ছিল না। মঞ্চ নাটক দেখেই তার বড় হয়ে ওঠা হলেও শারমিন লাকী বলেন,  অভিনয় অনেক কঠিন একটি কাজ। এটা আমার দ্বারা সম্ভব নয়। অনেক আগে থেকেই আমার কাছে অনেক ভালো ভালো কাজের প্রস্তাবও এসেছিল। কিন্তু যেহেতু আমি অভিনয় ভালো ভাবে করতে পারব না, তাই করিনি। আর আমি মনে করি, আমি যেটাতে দক্ষ, সেটাই করছি। যা আমার জন্য কঠিন হবে, সেটা করতে গিয়ে বিপদে পড়তে চাই না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর