× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৮ মে ২০২৪, বুধবার , ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হুয়াওয়ে নির্বাহী গ্রেপ্তার / চীন-কানাডা বিরোধ চরমে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) ডিসেম্বর ৯, ২০১৮, রবিবার, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

কানাডায় আটক চীনের প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝুকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে চীন। অন্যথায় পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও কানাডাকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে দেশটি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি ইউচেং কানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠান ও চীনের কড়া প্রতিবাদ ব্যক্ত করেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মেং-এর গ্রেপ্তারকে ‘খুবই নোংরা’ বলে আখ্যায়িত করে।
হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মেং আবার প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতার মেয়ে। তার বিরুদ্ধে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত মার্কিন অবরোধ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। শনিবার তাকে ভ্যাঙ্কুভারে আটক করা হয়। যেকোনো সময় তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হতে পারে। আর যুক্তরাষ্ট্রে দোষী প্রমাণিত হলে তাকে সর্বোচ্চ ৩০ বছরের কারাদ- দেওয়া হতে পারে।
তবে চীন বলছে, তিনি কোনো আইন লঙ্ঘন করেন নি।
শুক্রবার কানাডার একটি আদালতে তাকে হাজির করানো হয়। তবে তাকে জামিন দেওয়া হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভ্যাঙ্কুভারে বিমান পরিবর্তনের সময় তাকে গ্রেপ্তার করে কানাডা তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। তিনি বলেন, এতে আইন অগ্রাহ্য করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তার অযৌক্তিক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘চীন দৃঢ়ভাবে কানাডার প্রতি গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে তৎক্ষণাৎ মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানায়। অন্যথায় যেকোনো ধরণের পরিণতির পূর্ণ দায়ভার কানাডাকে বহন করতে হবে।’
বিবিসির খবরে বলা হয়, মেং-এর গ্রেপ্তার চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। দুই দেশ ইতিমধ্যেই বাণিজ্য বিবাদে জড়িয়ে আছে। শনিবার দুই দেশ এই যুদ্ধ ৯০ দিনের জন্য স্থগিতে সম্মত হলেও, সেদিনই গ্রেপ্তার করা হয় মেং-কে।
হুয়াওয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ টেলিযোগাযোগ যন্ত্রাংশ ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। হুয়াওয়ে সম্প্রতি অ্যাপলকে টপকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেছেন, এই মামলায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে বলে চীনকে আশ্বস্ত করেছে তার দেশ। এছাড়া মেং নিয়ম মোতাবেক কনস্যুলার সুবিধা পাবেন। এর আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, মেং-এর গ্রেপ্তারের পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর