ঢাকার টিভি নাটক নির্মাণে বছরে লগ্নি হয় প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। অথচ টিভি নাটককে এখনো শিল্প ঘোষণা করা হয়নি। এ নিয়ে হতাশ টেলিভিশন নাটক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবার তারা দাবি করলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে নাটককে শিল্প ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার্স এসোসিয়েশন, অভিনয় শিল্পী সংঘ, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ, ক্যামেরাম্যান এসোসিয়েশন, টেলিভিশন মিডিয়া মেকআপ আর্টিস্ট এসোসিয়েশন ও ডিরেক্টরস গিল্ডসহ ছয়টি সংগঠন। সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে পাঁচটি প্রস্তাবনা রেখেছে সংগঠনগুলো। প্রস্তাবনাগুলো হলো, ১. টেলিভিশন নাটককে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয়া। ২. টেলিভিশন নাটক সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর পেশ করা সুপারিশমালা বাস্তবায়নে সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করা।
৩. মাত্রারিতিক্ত বিজ্ঞাপনরোধে পে-চ্যানেল বাস্তবায়ন। এতে চ্যানেলসহ নাটকের সঙ্গে জড়িত সবাই আর্থিকভাবে উপকৃত হবে। ৪. টিআরপি পদ্ধতিকে গ্রহণযোগ্য ও বিজ্ঞানসম্মত করা। ৫. টিভি চ্যানেলগুলোর কাছে প্রযোজকদের যে অর্থ বকেয়া আছে তা সরকারের মধ্যস্থতায় পরিশোধের ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পাঁচটি দাবি তুলে ধরে সভাপতির বক্তব্যে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মামুনুর রশীদ বলেন, একটি স্বাধীন দেশে ২৪ ঘণ্টা বিদেশি সিরিয়াল চলতে পারে না। পিক টাইমে তো পারেই না। এ নিয়ে ২০১৬ সালে শহীদ মিনারে আমরা বিশাল এক সভা করেছিলাম। সেখানে ১০টি দাবি জানিয়েছিলাম। সেই দাবিগুলোর বাস্তবায়ন হলেই আমাদের সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। আমরা এখন সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। রাজনৈতিক দলগুলো যেন তাদের ইশতেহারে আমাদের দাবিগুলো উল্লেখ করে এবং সরকার গঠনের পরে যেন এগুলো বাস্তবায়ন করে।