জিপিএস প্রযুক্তির সঙ্গে আগেই পরিচিত আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের ফুটবলাররা। গত মৌসুমে আধুনিক এই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই তরুণ ফুটবলারদের নিয়ে স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতেছিলেন ইউয়েফা ‘এ’ লাইসেন্সধারী কোচ মারুফুল হক। চলতি মৌসুমে এই প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। দেরিতে হলেও জিপিএস প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে জাতীয় দলের ফুটবলাররা। নতুন মৌসুমে জাতীয় দলের ফুটবলাররা পাচ্ছেন জিপিএস সিস্টেম। যা ইতিমধ্যেই দেশে এসে পৌঁছেছে। আর জানুয়ারিতে কোচিং স্টাফদের সঙ্গে যোগ দিবেন ফিটনেস ট্রেনার লিন্ডসে পল ডেভিস।
প্রযুক্তির ব্যবহারে আধুনিক হবার অপেক্ষায় ফুটবল দল। দেশে পৌঁছেছে ৪৫টি জিপিএস ডিভাইস।
যা কাস্টমস ছাড়ের অপেক্ষায়। উন্নত বিশ্বে পুরনো প্রযুক্তি হলেও, ক্লাব ফুটবলের পর জাতীয় দল এর ব্যবহারে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স ও শারীরিক শক্তিমত্তার যাচাই ও বিশ্লেষণ করতে পারবে। এটা খেলোয়াড়দের জন্য অনেক জরুরি বলেই মনে করেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা। ফুটবলারদের ফিটনেসের লেভেল, গতি, আন্তর্জাতিক মান থেকে কত পিছিয়ে সেটা দেখা যাবে এই পদ্ধতিতে। কত দ্রুত দৌড়ায়, কত জায়গায় কাভার করে, শারীরিকভাবে কত শক্তিশালী। মাথা-হাত-পায়ের মুভমেন্ট নির্ণয় করা যায়। বিশ্বের বেশির ভাগ পেশাদার ক্লাবেই এই জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। ফুটবলারের গায়ে (ঘাড়ে) এক ধরনের কাপড় পরানো হয়। যার মাধ্যমে অনুশীলনে ফুটবলারদের গতি-ফিটনেস লেভেল পরিমাপ করা যায়। এ ছাড়াও শারীরিকভাবে কতটা শক্তিশালী তা জানা যাবে। দেরিতে হলেও জিপিএস প্রযুক্তি যুক্ত করতে পারায় খুশি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। এ নিয়ে সোহাগ বলেন, আমরা ৪৫টি জিপিএস ডিভাইস ক্রয় করেছি। যা এরি মধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। আশা করছি, জানুয়ারি থেকেই জাতীয় দলের ফুটবলাররা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। এতে আমাদের খেলোয়াড়দের মান বাড়ার পাশাপাশি ফিটনেস লেভেলেরও উন্নতি হবে।