ফেডারেশন কাপের পর স্বাধীনতা কাপেও গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলো ঢাকা মোহামেডান। গতকাল চট্টগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করলে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় সাদা-কালো শিবিরের। ‘বি গ্রুপ থেকে গ্রুপ সেরা হয়েই শেষ আটের টিকিট পেয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। এই গ্রুপ থেকে তাদের সঙ্গী রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। আগামী বুধবার দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিপক্ষ ‘ডি’ গ্রুপ রানার্সআপ শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। শুক্রবর চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে রানার্সআপ রহমতগঞ্জের প্রতিপক্ষ ‘ডি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস।
আগের ম্যাচে মোহামেডানকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল ড্র করলেই সুযোগ ছিল শেষ আটে খেলার। সেই সুযোগটি হাতছাড়া করলো নবাগত ক্লাবটি।
ঢাকার বাইরের ক্লাবটিকে বিধ্বস্ত করে স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে রহমতগঞ্জ। ম্যাচটি তারা জিতে ৩-০ গোলে। ঢাকা মোহামেডানের সঙ্গে ড্র করে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল রহমতগঞ্জ। আর চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হেরে হতাশায় ডুবেছিল পুরান ঢাকার ক্লাবটি। অন ডে’তে কতটা গর্জে উঠতে পারে একটি দল, তা রহমতগঞ্জকে না দেখলে বোঝা যাবে না। মোহামেডানকে হারানো সেই নোফেলকেই কি না বিধ্বস্ত করে ছাড়লো তারা। রহমতগঞ্জকে এই জয় এনে দেয়ার নেপথ্য কারিগর কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিও জোনপিও। ২০১১ সাল থেকেই ঢাকার মাঠে এই বিদেশি। ওই বছর প্রথম ফরাশগঞ্জে খেলেন কঙ্গোর এই ফুটবলার। ২০১৬ সালে রহমতগঞ্জে ছিলেন। পরের মৌসুমে ব্রাদার্সে যোগ দেন। এ বছরের শুরুতে কলকাতার আই লিগের দল চার্চিল ব্রাদার্সে খেললেও মৌসুম শুরুতে দলবদল করেন রহমতগঞ্জে। হয়তো এবারের মৌসুমে নিজের সেরা খেলাটিই খেললেন কাল।
তবে নোফেলকে বিধ্বস্তের শুরুটা করেন রাকিবুল ইসলাম। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে দলকে তিনিই এগিয়ে দেন (১-০)। আর ৬৩ ও ৮০ মিনিটে টানা দুই গোল করে রহমতগঞ্জকে বড় জয় এনে কোয়ার্টার ফাইনালের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখেন সিও জোনাপিও (৩-০)। শেষে এই ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পুরান ঢাকার ক্লাবটি। আর বিদায় নেয় তিন পয়েন্ট পাওয়া নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব।