× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জে মহাজোটে পুরনোরাই প্রার্থী, ঐক্যফ্রন্টে ৪ নতুন মুখ

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১০ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার

আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বর্তমান এমপিরা এবারো স্ব-স্ব আসনে প্রার্থী। অন্যদিকে, বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৪ নতুন মুখ এবার চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন। তাদের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতাও নেই। তারা হলেন- নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান ও আলোচিত নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাশেমী। তবে, নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনে নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এসএম আকরাম ১৯৯৬ সালে এই আসনে আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। এরপর জাতীয় পার্টির এমপির মৃত্যুতে ২০১৪ সালের ২৬শে জুন উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের কাছে হেরে যান। এবারো জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
তবে, এবার তার প্রতীক ধানের শীষ।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ এবার তাদের প্রার্থিতায় কোনো পরিবর্তন আনেনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৫ আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়। এই দুটি আসনে জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও সেলিম ওসমান। এবারো  আওয়ামী লীগ এ দুটি আসনে তাদের কোনো প্রার্থী দেয়নি। তবে, এখানে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন গতকাল তিনি তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে এখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর জন্য শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে নজরুল ইসলাম বাবু ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে শামীম ওসমানই আওয়ামী লীগের মনোনীত চূড়ান্ত নৌকার প্রার্থী। তবে, রূপগঞ্জ আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ গোলাম দস্তগীর গাজীর বিপক্ষে রয়েছে। কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দলীয় মনোনয়নের জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ছিটকে পড়েন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর এক ঘোষণায়। তিনি বলেছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবে না। কিন্তু গাজীকেও তারা মেনে নিতে পারছেন না।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী শামীম ওসমানের বিপরীতে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মুফতি মনির হোসাইন কাশেমীকে মেনে নিতে পারছে না স্থানীয় বিএনপি। যদিও বিএনপি ২৭শে নভেম্বর দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি শিল্পপতি মো. শাহ আলম ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদকে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা নিশ্চিত হয়ে যায় শেষ পর্যন্ত এখানে শাহ আলম বিএনপির তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চূড়ান্ত প্রার্থী হচ্ছেন। ফলে শামীম ওসমানের সঙ্গে লড়াইটা ভালোই জমবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে শনিবার সন্ধ্যায় শাহ আলম বাদ পড়ায় হতাশ বিএনপির নেতাকর্মীরা। কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহ আলম। আগামীতে বিএনপির রাজনীতিতে তিনি থাকবেন কি না তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে স্থানীয় বিএনপিতে। ওদিকে, শাহ আলম চূড়ান্ত মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়ায় শামীম ওসমান শিবিরে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, শামীম ওসমান দুইবারের এমপি। এলাকায় কম বেশি যথেষ্ট কাজ করেছেন। নির্বাচনী এলাকার সব ভোটার তাকে ভালো করেই চেনে এবং সে একজন প্রভাবশালী এমপি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ তথা সারা দেশে আলোচিত। সেখানে একেবারে নতুন মুখ এবং যাকে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরাও চেনে না সেখানে সাধারণ ভোটাররা তাকে কীভাবে গ্রহণ করবে তা আর বলার উপেক্ষা রাখে না। এ ছাড়া বিএনপির অনেক নেতাকর্মীও হতাশা প্রকাশ করছেন। তারা বলছেন, শামীম ওসমানকে অনেকটা ফাঁকা মাঠ ছেড়ে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটলো এখানে প্রার্থী সিলেকশনের মধ্য দিয়ে।
ওদিকে, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকারের সমর্থকরা শনিবার গুলশানে বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয় ভাঙচুর চালিয়েছে এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িতে হামলা করেছে। ইটের আঘাতে আহত হয়েছে গাড়িচালক। মোটকথা চরম ক্ষুব্ধ তৈমুর সমর্থকরা। একই আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া। তার সমর্থকরাও চরমভাবে হতাশ। একই অবস্থা নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর ও তার ভাতিজা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন। তারা দুইজন মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি শুরু থেকেই আজহারুল ইসলাম মান্নানকে দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চিঠি দিয়েছিল। ফলে সেখানে মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া নিয়ে ঝামেলা অনেকাংশে কম।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর