পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন পেয়েছেন ভিকারুননিসার শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনা। ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ গতকাল বিকালে এ জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক জালাল উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায়। এর আগে বুধবার রাজধানীর উত্তরার একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।
এদিকে অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ নিয়ে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেন, ভিকারুননিসা নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
এ কমিটি সুপারিশ বাস্তবায়ন হলেও সব প্রশ্নে উত্তর মিলবে। আর সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। গতকাল সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. সোহরাব হোসাইন এ তথ্য জানান। ভিকারুননিসার নাম পরিবর্তন করা হবে কি না- সেই প্রশ্নে সচিব বলেন, আমি আপনাদের আগেই বলেছি আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নেব। যতগুলো প্রশ্ন এসেছে, যতগুলো অভিযোগ এসেছে, ইতিমধ্যে মাননীয় আদালত একটা কমিটি করে দিয়েছেন, আমরাও কমিটি করেছি। আমরাও পরিদর্শন করব, বিভিন্নভাবে চেষ্টা করব। যেসব অভিযোগ অভিভাবকেরা করছেন, শিক্ষার্থীরা করছেন, আপনারা করছেন, সেগুলো থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমরা এ বিষয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আরও নিতে থাকব যাতে একটা আদর্শ প্রতিষ্ঠান হয়।
ঢাকার নামি এই স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ কীভাবে কার্যকর থাকবে, শিক্ষকরা কীভাবে পরিচালিত হবেন, শিক্ষার্থীরা কীভাবে ভালো থাকতে পারবে, ফলাফলও ভালো হবে- সে রকম কিছু পদক্ষেপ ইতিমধ্যে নেয়া শুরু হয়েছে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, যাতে প্রতিষ্ঠানটি ভালোভাবে চলে, শিক্ষক, অভিভাবকদের সন্তুষ্টি থাকে, যাতে শিক্ষকদের মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকে, শিক্ষার্থীরা প্রকৃত নাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে পারে সেজন্য আমাদের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীরা শিক্ষকদের অনুরোধে অনশন ভেঙে ক্লাসে ফিরে গেছে। গতকাল বেলা একটার দিকে অনশন ভাঙে তারা। শিক্ষিকার মুক্তির দাবিতে টানা তিন দিন ধরে বেইলি রোডে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মূল ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে কর্মসূচি পালন করছিল ছাত্রীরা।