× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্যাংক লুটেরাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি টিআইবির

প্রথম পাতা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১০ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার

দেশের উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, যারা ব্যাংক লুট, উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতিবাজ, তাদের বিরুদ্ধে দুদকের তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করার দৃষ্টান্ত নেই। এদের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে ‘আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। টিআইবি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের কাছে ১০ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করে সংগঠনটি। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি দমনে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে।

বিশ্বের ৬৩ শতাংশ মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দুর্নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এর আগে রয়েছে শুধু আফগানিস্তান। বাকি দেশগুলো দুর্নীতি প্রতিরোধে আমাদের চেয়ে এগিয়ে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, জনগণকে দুর্নীতি প্রতিরোধে সচেতন করা। জনগণকে বাদ দিয়ে কখনো কোনো দেশে দুর্নীতিকে রোধ করা যায় না। এ কারণে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে দুর্নীতির সহায়ক পরিবেশ রয়েছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও দেখা গেছে একজন শ্রমিক নেতা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তা পালন করা হয়নি। বাংলাদেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে উল্লেখ করে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, ৫৭ ধারা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি এসব কালো আইন বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। মানববন্ধনে দুর্নীতি প্রতিরোধে ১০ দফা সুপারিশ করে টিআইবি। সেগুলো হলো- আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক গণতন্ত্র ও সুশাসনের বিদ্যমান ঘাটতি পূরণে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার থাকতে হবে এবং তা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা থাকা; নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব কমাতে প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব পর্যবেক্ষণ করা; সরকারি খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘সরকারি চাকরি আইন-২০১৮’ এর বিতর্কিত ধারাসমূহ বাতিল করা; ঋণ খেলাপিতে জর্জরিত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি ও জালিয়াতি এবং বেসরকারি ব্যাংকের নজিরবিহীন আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা; বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থায় পেশাদারি উৎকর্ষ ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমন্বিত ও পরিপূরক কৌশল গ্রহণ করা;

সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ও সদস্যদের নিয়োগে যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ নিশ্চিত করা, তথ্য অধিকার আইনে ব্যবসায়িক, রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করা; আইনের বাস্তবায়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তথ্য প্রকাশকারী এবং তথ্যের আবেদনকারী উভয় ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; সবশেষে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে শক্তিশালী করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর