× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন /‘এখন আর সেই চাপ নেই’

বিনোদন

এন আই বুলবুল
১০ ডিসেম্বর ২০১৮, সোমবার

আমি অভিনয়ের বাইরে আর কিছু করি না। অভিনয়েই আমার সব ব্যস্ততা। বছরের পুরোটা সময় আমাকে টিভি নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়। চলতি বছর নিয়ে বলতে পারি, কাজের মধ্যেই ডুবে ছিলাম। চলতি বছরের শেষ সময়ে এসে নিজের সালতামামি প্রসঙ্গে এভাবেই বললেন টিভি নাটকের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী শারমিন জোহা শশী। তিনি আরো বলেন, আমি একজন পেশাদার  অভিনেত্রী। আমি অভিনয় ছাড়া আর কিছু বুঝি না। এছাড়া যারা টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করে তাদের অন্যদের থেকে একটু বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় বলে আমি মনে করি।
কারণ সপ্তাহের বেশির ভাগ সময়ে বিভিন্ন নাটকের জন্য তাকে সময় দিতে হয়। একেকটি নাটকের একেকটি চরিত্রের মধ্যে তাকে থাকতে হয়। সত্যি বলতে, ধারাবাহিকে অভিনয় করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। কেন ধারাবাহিকে অভিনয় সবার পক্ষে সম্ভব হয় না? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একটি ধারাবাহিকের চরিত্রে নিজেকে সব সময় একই রূপে রাখা কষ্টকর।

একটি খন্ড নাটক দুই দিনে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ধারাবাহিকে একটি চরিত্রের মধ্যে প্রায় পুরো বছর থাকতে হয়। যার জন্য একজন শিল্পীর গেটআপ পরিবর্তন হলে চরিত্রে ভারসাম্য থাকে না। আবার অনেক সময় গল্পের প্রয়োজনে চরিত্রে পরিবর্তন আসতে পারে। সেই কারণে এই সময়ে অনেক শিল্পী ধারাবাহিকে অভিনয় করতে আগ্রহী না। এই অভিনেত্রীর হাতে এখন অরিন্দম গুহর ‘মায়া মসনদ’, এসএম শাহীনের ‘সোনাভান’, দেবাশীষ বড়ুয়া দ্বীপের ‘ভালোবাসা প্রেম নয়’, রুলিন রহমানের ‘ভালোবাসা কারে কয়’, শাহীন সরকারের ‘জ্ঞানী গঞ্জের প-িতেরা’ এবং ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ শীর্ষক ধারাবাহিকগুলো রয়েছে। প্রতিটি ধারাবাহিকে শশী ভিন্ন ভিন্œ চরিত্রে অভিনয় করছেন। কোনটিতে চঞ্চলা মেয়ে, আবার কোনোটিতে প্রতিবাদী মেয়ের চরিত্রে। শশীর চোখে এই সময়ে টিভি নাটকের অসংগতিগুলো কি জানতে চাইলে তার ভাষ্য, আমাদের নাটকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট হচ্ছে। কিন্তু সেই তুলনায় উন্নতি হচ্ছে না। দর্শক বিদেশি সিরিয়ালে আকৃষ্ট হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি ভালো কাজের জন্য আগ্রহী হতে হবে। স্ক্রীপ্টের দিকে নির্মাতাদের জোর দেওয়া প্রয়োজন। বাজেটের বিষয়টি নিয়েও সবার ভাবা উচিৎ। এই বিষয়গুলোর আমরা উত্তরণ করতে পারলে আমাদের ভবিষ্যত উজ্জল হবে। ডিসেম্বর বিজয়ের মাস। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। আগামীতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান এই অভিনেত্রী? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মনে করি প্রত্যেক সচেতন নাগরিক সুন্দর একটি বাংলাদেশ দেখতে চান। আমিও আমার দেশটাকে সুন্দর দেখতে চাই। আমাদের নতুন প্রজন্ম যেন সুন্দর ভাবে বাঁচার অধিকার পায় সেটি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। গেল কয়েক বছরে আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে এলে এই দেশ আরো বেশি সমৃদ্ধি অর্জন করবে। ছোট পর্দার বাইরে কোহিনূর আক্তার সুচন্দা পরিচালিত ‘হাজার বছর ধরে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দারুণ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন শশী। কিন্তু এরপর তাকে আর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি। তবে নানা সময়েই ছবির প্রস্তাব পেয়ে থাকেন। কিন্তু ব্যাটে বলে মিলছে না বলে চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন না। এদিকে শশীর সমসাময়িক অনেকে বিয়ের পিড়িতে বসেছেন। কিন্তু এখনো তিনি একাই আছেন। প্রতি বছরই বিয়ে করবেন বলেও করছেন না। বিয়ের জন্য পরিবার থেকে কি বলা হচ্ছে? শশী বলেন, একটা সময় পরিবার থেকে বিয়ের জন্য বলা হতো। কিন্তু এখন আর সেই চাপ নেই। বিয়ের সিদ্বান্ত পরিবার আমার ওপর ছেড়ে দিয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর