খলিল প্রয়াত খলিল উল্লাহ খান খলিল সবার কাছে খল অভিনেতা হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন মূলত একজন আর্মি অফিসার। ১৯৫১ সালে আর্মি কমিশনে যোগ দিয়ে কোয়েটাতে চলে যান। ১৯৫২ সালে ফিরে এসে আনসার অ্যাডজুট্যান্ট হিসেবে যোগ দেন। দীর্ঘদিন সাসপেন্ড থাকার পর তা উইথড্র হয় ১৯৭৭ সালে। ১৯৯২ সালে বয়সের কারণে রিটায়ার করেন।
আবুল হায়াতআবুল হায়াত একজন দক্ষ অভিনেতা ও নির্মাতা হলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার (পুরকৌশলী)। বুয়েট থেকে ১৯৬৭ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে ১৯৬৮ সালেই ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী পদে যোগ দেন। দীর্ঘদিন এ পেশায় জড়িত থাকলেও এখন তিনি শুধুই অভিনয় এবং নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত।
দিলারা জামানমায়ের চরিত্রের দাপুটে অভিনেত্রী দিলারা জামান ছিলেন একজন শিক্ষিকা। চট্টগ্রাম ও ঢাকার অনেক স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করেছেন।
সর্বশেষ তিনি অধ্যক্ষ ছিলেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের।
হুমায়ূন আহমেদতিনি কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে। সে সময় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে কাজ করতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগেও তিনি দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। একসময় লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ার কারণে ছেড়ে দেন শিক্ষকতা পেশা। ছাত্রছাত্রীদের অতি প্রিয় এ শিক্ষক লেখালেখি করা অবস্থায় নাটক-সিনেমা লেখা ও নির্মাণে নাম লিখিয়েও তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
বুলবুল আহমেদপড়ালেখার পাশাপাশি তিনি মঞ্চাভিনয়ে জড়িত ছিলেন। একটা সময় চাকরি জীবন শুরু করেন তৎকালীন ইউবিএল ব্যাংক টিএসসি শাখার ম্যানেজার হিসেবে। অভিনয়ের চাপে একসময় তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।
হানিফ সংকেততিনি একাধারে উপস্থাপক, পরিচালক, লেখক ও প্রযোজক। দর্শক-শ্রোতাদের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছেন প্রায় ৩০ বছর ধরে। উপস্থাপনায় তার ভিন্ন এক শৈলী হচ্ছে, তিনি বাংলা কিংবা বিদেশি শব্দ এক করে বলেন না। শুদ্ধ বাংলায় উপস্থাপনা করেন। জনপ্রিয় এ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব পেশাগত জীবনে প্রথমে ছিলেন একজন প্রকৌশলী। স্পার্সো বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানে উর্ধ্বতন প্রকৌশলী হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পরে শোবিজের কাজের ব্যস্ততার কারণে ১৮ বছর আগে চাকরি ছেড়ে দেন।
ফজলুর রহমান বাবুজনপ্রিয় এ অভিনেতা দীর্ঘদিন ব্যাংকে চাকরি করেছেন। অভিনয়ের ব্যস্ততায় একসময় তিনি তা ছেড়ে দেন। এখন অভিনয়ই তার পেশা। সেসঙ্গে গানও করেন।
রিয়াজএ চলচ্চিত্র অভিনেতা ছিলেন মূলত একজন পাইলট। তুরস্কে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন, দেশে ফিরে পেয়েছিলেন কমিশন্ড। কিন্তু মন টিকলো না সেখানে। ছেড়ে এলেন ইউনিফর্ম আর ক্যান্টনমেন্টের জীবন। চাকরি ছাড়ার পর কী করবেন ভাবছিলেন, এমনই সময়ে একেবারেই অপ্রত্যাশিতভাবে নতুন একটা দিগন্ত উন্মোচিত হয়ে গেল তার সামনে। চলচ্চিত্র অভিনয়ে নাম লেখালেন তিনি।