× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

টাঙ্গাইল-১ /এমপি-মেয়রের লড়াই

বাংলারজমিন

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
১১ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

 টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মন্ত্রিত্বও পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারে। এবার তার সামনে নবীন প্রতিদ্বন্দ্বী ‘সরকার শহীদ’ নামে সুপরিচিত শহিদুল ইসলাম সরকার। তিনি আগে কখনো সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নি। তবে মধুপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন তিনবার। একজন তিনবারের সংসদ সদস্য, বয়সে প্রবীণ। আরেকজন তিনবারের মেয়র, বয়সে নবীন। এই আসনের ভোটাররা বলতে শুরু করেছেন এবার নবীন-প্রবীণের লড়াই বেশ জমে উঠতে পারে।
‘ভোলা কমান্ডার’ হিসেবে সুপরিচিত মুক্তিযোদ্ধা ড. আব্দুর রাজ্জাক ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, মধুপুর ও ধনবাড়ী এলাকা আওয়ামী লীগের ঘাঁটি।
কারণ এর আগে ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এই আসনে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল হাসান চৌধুরী। ৭ম সংসদ (১৯৯৬) নির্বাচনে তিনি বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারকে পরাজিত করে বিজয়ী হন। ৯ম সংসদ (২০০৮) নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন ড. আবদুর রাজ্জাক। বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ফকির মাহবুব আনাম স্বপন। ভোটের ব্যবধান ছিল ৮২৫৬১। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তাকে খাদ্য এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়। সফল মন্ত্রী হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি ১০ম সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
রাজনৈতিক পরিবারে বেড়ে ওঠা সরকার শহীদ বাল্যকাল থেকেই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৮৯ সালে মধুপুর কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হন। ফুটবলার হিসেবে তার খ্যাতি ছিল। এখনো ক্রীড়ামোদী হিসেবে অবদান রাখছেন। মধুপুর কলেজে স্নাতকে অধ্যয়নকালে ১৯৯৯ সালের নির্বাচনে তিনি প্রথম মধুপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। পৌরসভার বর্তমান মেয়র এবং আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ পারভেজকে তিনি সে সময়ে বিপুল ভোটে পরাজিত করে জয়ের মালা গলায় পরেন। পরবর্তীতে দুইদফা পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই বিখ্যাত নেতা তার নিকট ধরাশায়ী হন। ২০০৪ সালের পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা এবং মধুপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মন্টুকে তিনি পরাজিত করেন।
একইভাবে ২০১১ সালের পৌর নির্বাচনে হারিয়ে দেন বর্তমান মধুপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক সরোয়ার আলম খান আবুকে। হেভিওয়েট আওয়ামী লীগ নেতাদের পরাজিত করে তিনি হ্যাটট্রিক করে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন।
সরকার শহীদ প্রথমে মধুপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। পরে দুই দুইবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি জেলা বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক এবং দেশনেত্রী সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। তিনি মধুপুর রিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন, কুলি-মজদুর ইউনিয়ন এবং ইটভাটা শ্রমিক সমিতির সভাপতি, ট্রাক মালিক সমিতি, শিল্প ও বণিক সমিতির উপদেষ্টা। এ ছাড়াও তিনি অসংখ্য স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।
মধুপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয় তারই মার্কেটে অবস্থিত। টানা দুই দশক ধরে বিনা ভাড়ায় তিনি দলকে এটি ব্যবহার করতে দিচ্ছেন। তাকে নিয়ে মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই বলে জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর