× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ /‘এজেন্ট হতে পারে এমন কর্মীর বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে’

বাংলারজমিন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
১১ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

ঝিনাইদহ-২ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবদুল মজিদ তার নির্বাচনী এলাকার নাজুক ও ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার দুপুরে শহরের কলাবাগান পাড়ার নিজস্ব বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন রেখে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মজিদ বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যে ভাবে পুলিশ গ্রেপ্তারের হুমকি দিচ্ছে তাতে সবার মাঝেই প্রশ্ন উঠেছে প্রার্থী কি আওয়ামী লীগের নাকি পুলিশ প্রশাসনের? তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন বর্তমান প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণে আমার নেতাকর্মীরা ভীত-সন্ত্রস্ত। তারা বাড়িতে ঘুমাতে পারছে না। ভোট চাইতে পারছে না। এজেন্ট হতে পারে এমন কর্মীদের বাড়ি পুলিশ পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী তাহজীব আলম সমি সিদ্দিকী তার ব্যক্তিগত লোকজন দিয়ে সশস্ত্র মহড়ার মাধ্যমে রোববার রাতে প্রকাশ্যে আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারপিট করেছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিসে বসে পৌর আওয়ামী লীগ নেতা বাবু জীবন কুমার বিশ্বাসের নির্দেশে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নামধারী যুবলীগ নেতা পবহাটি গ্রামের দিপুল, কেসি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা সুমন, কাঞ্চনগরের যুবলীগ নেতা ইমরান, ছাদ, সাব্বির, দ্বীপ এবং পবহাটির ইউসুফ ও স্বাধীনসহ অন্যান্যের নেতৃত্বে আমার অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা আমার ১২/১৫ জন নেতাকর্মীকে বেধড়ক মারপিট করে।
পরপরই সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক শেখ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু হাসনাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমার অফিসে হামলার কিছুক্ষণ পরই পুলিশ প্রটেকশনে সশস্ত্র মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীরা। এমনকি জেলা রিটার্নিং অফিসারের পক্ষ থেকেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন ঝিনাইদহের পূর্বাঞ্চলের আওয়ামী লীগের নেতা পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন, দোগাছি ইউয়িনের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়জুল্লাহ ফয়েজ, পদ্মাকরের সাবেক চেয়ারম্যান বিকাশ বিশ্বাস, হরিশঙ্করপুর ইউনিয়নের ফরিদ উদ্দিন, হলিধানীর আবদুর রশিদ মিয়া, মধুহাটীর জুয়েল ও সাধুহাটীর কাজী নাজির উদ্দীন তাদের নিজ নিজ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্বাচনী কার্যালয় বানিয়ে জনসংযোগের নামে সন্ত্রাসী কার্যালপাপ চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা যাতে ভোট সেন্টারে না যায় তার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মজিদ লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সরকারী অফিস ঝিনাইদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয় নৌকা মার্কার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ঝিনাইদহ-২ আসনের এমপি তাহজীব আলম ক্ষমতায় থাকাকালীন এখানে কোনো উন্নয়ন করতে না পারায় নিজ দলের কাছেই তিনি গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পথ বেছে নিয়েছেন। যা শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের অন্তরায়। ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এডভোকেট আবদুল মজিদ সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে যে সব পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রশাসনের লোকজন বিতর্কিত ভূমিকায় অবতীর্ণ রয়েছেন তাদেরকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট মুন্সী কামাল আজাদ পান্নু, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুল আলীম সহ জেলা, থানা, পৌর বিএনপি’র ও সকল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর