মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি, জামায়াত ও তাদের অঙ্গসংগঠনের ১৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। বিএনপির অভিযোগ তাদের নেতাকর্মীদের গয়েবি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে তাদের বিরুদ্ধে পুরোনো মামলা আছে। এদিকে, বিএনপি দলীয় প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান গতকাল মৌলভীবাজার রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অনুরোধ করেছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন এবং দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি বন্ধ এবং গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায় রোববার রাতে জেলার ৭টি থানার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মৌলভীবাজার সদর থেকে ৭, রাজনগর থেকে ১, কুলাউড়া থেকে ৫, জুড়ী ২ ও বড়লেখা থেকে জামায়াত- বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি আহমেদ ফারুক (৪০), বিএনপি নেতা আব্দুল মতিন (৫০), মাহবুবুর রহমান, ছাত্রদলকর্মী আব্দুল করিম কাজিম (২০), মনির আহমদ (২২), জনি মিয়া, শিবির নেতা পারভেজ মিয়া মেরাজ, রাজনগরের টেংরা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মর্তুজ মিয়া, কুলাউড়া থেকে গ্রেপ্তাররা হলেন- আব্দুর করিম, (৫৫), আব্দুল হক (৪৫), আজাদ আহমদ (২৮), জামিলুর রহমান (২০) ও সাজ্জাদুর রহমান (২০)। জুড়ী ও বড়লেখা থেকে গ্রেপ্তার ৬ জনের নাম জানা যায়নি। এদিকে, জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করে বিএনপি, অঙ্গসংগঠন ও ২০দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার দাবি জানিয়েছেন।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল গতকাল বিকালে মুঠোফোনে বিএনপি-জামায়াতের ১৯ জন গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে মানবজমিনকে বলেন এরা সবাই পুরানো মামলার আসামি।