১৪ দেশের প্রায় দেড় শতাধিক শাটলারের অংশগ্রহণে আজ শুরু হচ্ছে ইউনেক্স-সানরাইজ আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট। ২০১১ সালে দু’টি ব্রোঞ্জ জিতেছিল বাংলাদেশ। মহিলা দ্বৈতে আখি ও সীমা এবং মিশ্র দ্বৈতে এনায়েত ও এলিনা এই পদক দু’টি এনে দেন। পরের দুই আসরে কোনো পদক জিতেনি স্বাগতিকরা। গত বছর তো ফেডারেশনের গাফিলতিতে টুর্নামেন্টই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়নি। এসব ভুলে এবার ভালো কিছু করার ব্যাপারে আশাবাদী স্বাগতিক শাটলাররা।
এরই মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছে অংশগ্রহণকারী ১৪ দেশের শাটলাররা। প্রস্তুত বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। টুর্নামেন্টের বাজেট ধরা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা।
যার মধ্যে পৃষ্ঠপোষক ইউনেক্স-সানরাইজ ২২ হাজার এবং ব্যাডমিন্টন এশিয়া ১১ হাজার ডলার দিচ্ছে বলে জানা গেছে। টুর্নামেন্টে পুরুষ ও মহিলা একক ও দ্বৈত এবং মিশ্র দ্বৈতে অংশ নিবেন প্রতিযোগিতারা। বিজয়ী শাটলাররা প্রায় ৩০ লাখ টাকার প্রাইজমানি পাবেন। সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফেডারেশনের সভাপতি ও তথ্য সচিব আবদুল মালেক। এ সময় সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার উপস্থিত ছিলেন। টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার চারজন, আমেরিকার তিনজন, ভারতের ৩৯, ভিয়েতনামের দু’জন, জার্মানির একজন, মালয়েশিয়ার ২০, থাইল্যান্ডের ১২, ইন্দোনেশিয়ার ১৯, শ্রীলঙ্কার ছয়জন, মালদ্বীপের ১৮ এবং বাংলাদেশের ২২ জন শাটলার অংশ নিচ্ছেন। এ ছাড়াও নেপাল ও মরিশাসের শাটলাররাও এসেছেন ঢাকায়। উদ্বোধন করবেন ফেডারেশনের সভাপতি ও তথ্য সচিব আবদুল মালেক। বাংলাদেশের শীর্ষ বাছাই শাপলা আক্তার ও এলিনা সুলতানা। বড় আসরে নামার আগে বেশ ক’দিন ধরেই ক্যাম্প করছেন তারা। টুর্নামেন্ট নিয়ে শাপলা বলেন, ‘আমরা আশাকরি এই টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করতে পারবো। অন্তত সেমিফাইনাল খেলার প্রত্যাশা রয়েছে।’ এলিনার কথা, ‘২০১১ সালে একটি ব্রোঞ্জ এনে দিয়েছিলাম। এবারো সেই প্রত্যাশা নিয়ে কোর্টে নামবো।’ পাঁচ দিনব্যাপী প্রতিযোগিতার শাটলারদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে আরামবাগের রহমানিয়া হোটেল ও মতিঝিলের পূর্বাণী হোটেলে। ভেন্যুতে যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।