চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে  আপেল প্রতীক পেয়ে নৌকার বিরুদ্ধে প্রচারণায় নেমেছেন আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম। চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে তিনিই একমাত্র আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে বহিষ্কারের খড়গ মাথায় ঝুললেও পিছিয়ে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পেয়ারুল। তার ভাষায়, ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া ছাড়া তার সামনে আর কোনো পথ খোলা ছিল না।

২০১৪ সালের মতো এবারো এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মহাজোটের শরিক তরীকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। অথচ এ নিয়ে শুরু থেকেই ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছেন ভাণ্ডারী।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, মহাজোটের প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী সংসদ সদস্য হওয়ার পর ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগে বিভক্তি তৈরি করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে কোনোদিনও তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ফটিকছড়িতে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ অনেক সংগ্রাম করেছে। জামায়াত-শিবির আওয়ামী লীগের যত ক্ষতি করতে পারেনি, বর্তমান সংসদ সদস্য তার চেয়ে অনেক বেশি করেছে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেউ তাকে আর সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায় না। তারা সবাই আমার পাশে আছেন। আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকবো এবং জয়ী হবো।