× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শাহ্‌ মোয়াজ্জেমের গাড়িতে হামলায় পুলিশের মামলা /আসামি ৪০১ বিএনপির নেতাকর্মী

দেশ বিদেশ

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
১১ ডিসেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

মুন্সীগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেমের গাড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। গত রোববার বিকালে সিরাজদিখান থানা পুলিশ বাদী হয়ে ৪০১ জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকালে উপজেলা পাথরঘাটায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করার উদ্দেশ্যে কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেমের গাড়ি পৌঁছালে ১০/১৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে। লাঠি দিয়ে গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলা হয়। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী আরো জানান, হামলার সময় ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ সদস্য ছিল না। আরো জানান, হামলার ঘটনা ঘটার প্রায় ১ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে বিএনপির প্রার্থী শাহ মোয়াজ্জেম ও আরেক মনোনয়নবঞ্চিত নেতা শেখ আব্দুলাহর পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনায় পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ও মাহিদুলসহ ৫ জন পুলিশ আহত হয়।
আরো জানা যায়, বিএনপির ওই দু’পক্ষের কেউ অভিযোগ করেনি। পুলিশের ওপর আক্রমণ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনসহ ২৫১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো এক থেকে দেড়শ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী এসআই আশরাফুল। মামলা ও হামলার বিষয়ে শাহ মোয়াজ্জেমের গাড়িতে থাকা সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ ধীরন জানান, বিকালে দুর্বৃত্তরা আমাদের গাড়িতে হামলা ও গুলি করে। গাড়ির কাচ ভেঙে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। আমরা পুলিশের সাহায্য চাইলে তারা কোনো সাহায্য করেনি। শাহ মোয়াজ্জেমের নিরাপত্তা দেয়নি। ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ ছিল না। প্রায় ২/৩ ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় ফেরার পথে পুলিশের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়। তাহলে তারা আহত হলেন কীভাবে? গায়েবি মামলা করা হয়েছে যেন আমরা ভোটের মাঠে থাকতে না পারি। আপনারা দেখেন কোন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের সচিবের সঙ্গে দেখা করছি। ঘটনার দিন ও পরদিন কোনো পত্রপত্রিকায় পুলিশের আহতের কোনো খবর প্রকাশ হয় নাই। গাড়িতে থাকা অভিযুক্ত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন জানান, শ্রীনগর উপজেলায় একটি বিয়ের দাওয়াত শেষে বাসাইল ইউনিয়নের এক কর্মীর বাবা মারা গেলে সেখানে এবং একটি উঠান  বৈঠক করার উদ্দেশ্যে কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় পৌঁছালে ১০ থেকে ১৫ জনের একদল লোক জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমাদের গাড়ি বহরে হামলা করে। আমরা পুলিশকে ফোন দিয়ে সাহায্য চাইলে তাদের কাছ থেকে কোনো সারা পাইনি। ঘটনাস্থলে কোনো পুলিশ ছিল না। আমরা অনুষ্ঠান শেষ করে ফেরার পথে দেখি পুলিশ আসছে। আমি গাড়ির ভেতরে ছিলাম। ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল না তাহলে পুলিশ আহত হলো কীভাবে। মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে আমকে আসামি করা হয়েছে। যে পুলিশ সদস্যদের কথা বলা হয়েছে তাদের থানায় গিয়ে দেখেন আহত হয়েছে কি না।
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দুলাল জানান, শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশের পাঁচ সদস্য স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। তাদের শরীরে মারাত্মক কোনো যখম ছিল না। শুনেছি তাদের  ইট-পাটকেলের আঘাত লেগেছিল। সিরাজদিখান থানার ওসি (প্রশাসন) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, ৪টা ১৫ মিনিট হতে ৬টা ৫ মিনিট পর্যন্ত বিএনপি মনোনয়ন প্রাপ্ত শাহ মোয়াজ্জেম ও মননোয়নবঞ্চিত আব্দুল্লাহ বিএনপির দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। এ সময় খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের ওপর তারা হামলা চালায় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেলের বিস্ফোরিত ৯টি অংশ ও কাচের গুঁড়া পাওয়া যায়। এ সময় আমাদের পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।  পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরণ আইনে মামলা হয়েছে। ২৫১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১শ’ থেকে দেড়শ আসামি করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর