হাস্যোজ্জ্বল মুখ। হাতে প্রতীক। নেতাকর্মীদের বিজয়সূচক চিহ্ন। নির্বাচনে অংশ গ্রহণের উদ্দেশ্যে মনোনয়ন যাচাই বাছাই। এই যাত্রায় পাস হবার পর দল মনোনীত প্রার্থীরা পান নির্বাচনে লড়বার চূড়ান্ত টিকিট। নির্বাচন শুরু হবার আগেই এ যেন খণ্ড যুদ্ধ জয়। এই খণ্ডযুদ্ধে জয়ী প্রার্থীরা গতকাল পেলেন প্রতীক।
নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গল, কোদাল, উদীয়মান সূর্য, সিংহ, আম, হাতপাখাসহ বিভিন্ন প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা। তবে এই প্রতীক সংগ্রহে রাজধানীর ১৫টি আসনের (ঢাকা-৪ থেকে ঢাকা-১৮) হেভিওয়েট প্রার্থীদের দেখা গেছে সংখ্যায় অনেক কম।
প্রতীক সংগ্রহ করতে আসার মধ্যে ঢাকা-১১ আসনের শামীম আরা বেগম ও তার নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনি ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি এমএ কাইয়ুমের স্ত্রী। প্রতীক সংগ্রহের পরে সাংবাদিকদের জানান, তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। এছাড়াও তিনি জানান, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণা চালালেও তারা মাঠে প্রচারণা চালাতে পারছেন না। এরপর দলের স্লোগান দিতে দিতে তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ত্যাগ করেন।
গতকাল সারাদিন এভাবে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ১৩২ জনের প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। এর মধ্যে হেভিওয়েট প্রার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল অনেকটাই কম। উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাজী মো. সেলিম (ঢাকা-৭), জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা (ঢাকা-৪), বিএনপি প্রার্থী এস এ সিদ্দিক সাজু (ঢাকা-১৪), আব্দুস সালাম (ঢাকা-১৩), আওয়ামী লীগের আরেক প্রার্থী একেএম রহমতউল্লাহসহ (ঢাকা-১১) বেশ ক’জন। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার প্রতীক নিয়েও ছিল বেশ আলোচনা। তিনি লড়ছেন ঢাকা-১৭ আসন থেকে। অন্যদিকে প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রতীক নেন আন্দালিভ রহমান পার্থ, মির্জা আব্বাস (ঢাকা-৮), ফজলে নূর তাপস (ঢাকা-১০), আফরোজা আব্বাস (ঢাকা-৯), সাইফুল আলম নিরবসহ (ঢাকা-১২) অধিকাংশ হেভিওয়েট প্রার্থী।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুর রহমান লড়ছেন ঢাকা-১৫ আসনে। তার পক্ষে প্রতীক নেন তার প্রধান প্রস্তাবক লস্কর মো. তসলিম। তিনি বলেন, দেশে নিয়মতান্ত্রিক পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠার লক্ষেই আমরা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছি। ঢাকা-১০ আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে লড়বেন সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস। তার প্রতীক সংগ্রহ করেন সমর্থনকারী রিয়াজুল রহমান বাবুল। তিনি শেখ ফজলে নূর তাপসের ফের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদব্যক্ত করেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী একেএম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১) ছিলেন উপস্থিত। তিনিও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপির একেএম সাজু। তিনি বাসযোগ্য সন্ত্রাসমুক্ত মিরপুর গড়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এরশাদের পক্ষে ঢাকা-১৭ আসনে প্রতীক সংগ্রহ করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এএম ফয়সাল চিশতী। তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় সাংবাদিকরা এরশাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ফয়সাল বিষয়টি এড়িয়ে যান।
ঢাকার ১৫টি সংসদীয় আসনে মোট প্রতীক বরাদ্দ করা হয় ১৩২টি। ঢাকা-৪ আসনে ৯ প্রার্থী প্রতীক পেয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন সালাউদ্দিন আহমেদ, মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। এই আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাকের পার্টির মো. আজাদ মাহমুদ (গোলাপ ফুল), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. শাহ্ আলম (মিনার), জাসদের মো. হাবিবুর রহমান শওকত (মশাল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সুমন কুমার রায় (আম), গণফ্রন্টের সহিদুল ইসলাম মোল্লা (মাছ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সৈয়দ মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ (হাতপাখা), বিকল্পধারা বাংলাদেশের মো. কবির হোসেন (কুলা)
ঢাকা-৫ আসনে মোট ১০ জন বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে লড়বেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন হাবিবুর রহমান মোল্লা, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন মো. নবীউল্লা। এই আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন- গণফোরামের এসএম আলতাফ হোসেন (উদীয়মান সূর্য), জাতীয় পার্টির মীর আব্দুস সবুর (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মো. আব্দুর রশিদ ওরফে আব্দুর রশিদ সরকার (কুঁড়েঘর), ইসলামী ঐক্যজোটের মো. আব্দুল কাইয়ুম (মিনার), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আরিফুর রহমান ওরফে সুমন মাস্টার (আম), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আলতাফ হোসেন (হাতপাখা), জাকের পার্টির মো. রবিউল ইসলাম (গোলাপ ফুল) ও গণফ্রন্টের শামীম মিয়া (মাছ)।
ঢাকা-৬ আসনে বিভিন্ন দল থেকে প্রতীক পেয়েছেন ৮জন। এর মধ্যে লাঙ্গল প্রতীক পেয়েছেন কাজী ফিরোজ রশিদ। ধানের শীষ পেয়েছেন গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী। এই আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন- গণফ্রন্টের আহমেদ আলী শেখ (মাছ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের ববি হাজ্জাজ (হারিকেন), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আক্তার হোসেন (আম), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মো. আবু তাহের হোসেন (কাস্তে), জাতীয় পার্টি-জেপির সৈয়দ নাজমুল হুদা (বাইসাইকেল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাজী মো. মনোয়ার খান (হাতপাখা)।
ঢাকা-৭ আসনে প্রতীক পেলেন ১২ প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন হাজী মোহাম্মদ সেলিম। বিএনপির ধানের শীষ পেয়েছেন গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টু। এ ছাড়া এই আসনের অন্য প্রার্থীদের প্রতীক হলো- বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের খালিকুজ্জামান (মই), জাতীয় পার্টির তারেক আহমেদ আদেল (লাঙ্গল), জাকের পার্টির বিপ্লব চন্দ্র বণিক (গোলাপ ফুল), গণফ্রন্টের মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন (মাছ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. আফতাব হোসেন মোল্লা (হারিকেন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুর রহমান (হাতপাখা), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফের মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (টেলিভিশন), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মাসুদ পাশা (আম), গণফোরামের মো. মোশাররফ হোসেন (উদীয়মান সূর্য), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. হাবিবুল্লাহ (বটগাছ)।
ঢাকা-৮ আসনে বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে লড়বেন ১৪ প্রার্থী। নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন। এই আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন মির্জা আব্বাস উদ্দীন আহমেদ। এই আসনের অন্যান্য প্রার্থীদের প্রতীক হলো- ইসলামী ঐক্যজোটের আবু নোমান মোহাম্মদ জিয়াউল হক মজুমদার (মিনার), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল- পিডিপির আবুল কালাম আজাদ (বাঘ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন (টেলিভিশন), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এস এম সরওয়ার (মোমবাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবুল কাশেম (হাতপাখা), জাতীয় পার্টির মো. ইউনুছ আলী আকন্দ (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. সাবের আহাম্মদ ওরফে কাজী ছাব্বীর (আম), গণফ্রন্টের মো. জাকির হোসেন (মাছ), জাকের পার্টির মো. নজরুল ইসলাম লিটন (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের শম্পা বসু (মই), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির শমি আক্তার শিল্পী (গাভী), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের হাসিনা হোসেন (হারিকেন)।
ঢাকা-৯ আসনে প্রতীক পেয়েছেন ৭ জন প্রার্থী। তার মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন সাবের হোসেন চৌধুরী। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন আফরোজা আব্বাস। এই আসনের অন্য প্রার্থীদের প্রতীক হলো- ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মাহফুজা আক্তার (আম), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মানিক মিয়া (হাতপাখা), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. শফিউল্লাহ চৌধুরী (টেলিভিশন), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. আব্দুল মোতালেব (হারিকেন), জাকের পার্টির মো. হুমায়ূন কবীর (গোলাপ ফুল)।
ঢাকা-১০-এ আছেন ৬ প্রার্থী। এখানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন শেখ ফজলে নূর তাপস। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন আব্দুল মান্নান। এই আসনের অন্য প্রার্থীদের প্রতীক হলো- ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কে এম শামসুল আলম (আম), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মো. বাহারান সুলতান বাহার (বাঘ), জাতীয় পার্টির মো. হেলাল উদ্দীন (লাঙ্গল)।
ঢাকা-১১তে প্রতীক পেলেন ৮ প্রার্থী। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে একেএম রহমতুল্লাহ, বিএনপির ধানের শীষে লড়বেন শামীম আরা বেগম। এই আসনের অন্য প্রার্থীদের প্রতীক হলো- জাতীয় পার্টির এসএম ফয়সাল চিশতী (লাঙ্গল), গণফোরামের মোজাম্মেল হক-বীর প্রতীক (উদীয়মান সূর্য), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মো. আব্দুল বাতেন (কাঁঠাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিনুল ইসলাম (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মিজানুর রহমান (আম), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শরীফ মো. মিরাজ হুসেইন (হারিকেন)।
ঢাকা-১২ আসনে রয়েছেন ৬ প্রার্থী। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিএনপির ধানের শীষে লড়বেন সাইফুল আলম নীরব। এই আসনের অন্য প্রার্থীদের প্রতীক হলো- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ শওকত আলী হাওলাদার (হাতপাখা), বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি (কোদাল), জাতীয় পার্টির মো. নাসিরউদ্দিন সরকার (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহীন খান (আম)।
ঢাকা-১৩ আসনে প্রতীক দেয়া হয়েছে ১০ প্রার্থীকে। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. সাদেক খান। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন মো. আব্দুস সালাম। এই আসনের অন্য প্রার্থীদের প্রতীক হলো- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির খান আহসান হাবিব (কাস্তে), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের দুলাল কান্তি লাল (টেলিভিশন), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম (মোমবাতি), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের মো. কামরুল আহসান (ফুলের মালা), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মো. জিহাদুল করিম টিপু (বাঘ), বিকল্পধারা বাংলাদেশের মো. মাহবুবুর রহমান (কুলা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মুরাদ হোসেন (হাতপাখা), জাতীয় পার্টির মো. শফিকুল ইসলাম (লাঙ্গল)।
ঢাকা-১৪-তে চূড়ান্ত প্রতীক নিয়েছেন ৭ প্রার্থী। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. আসলামুল হক। বিএনপির ধানের শীষ পেয়েছেন সৈয়দ আবু বক্কর সিদ্দিক। এই আসনের অন্য প্রার্থীদের প্রতীক হলো- বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. আনোয়ার হোসেন (টেলিভিশন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবু ইউসুফ (হাতপাখা), জাতীয় পার্টির মোস্তাকুর রহমান (লাঙ্গল), জাকের পার্টির মো. জাকির হোসেন (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির রিয়াজ উদ্দিন (কাস্তে)।
ঢাকা-১৫-তে ১০জন প্রার্থী প্রতীক পেয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন কামাল আহমেদ মজুমদার। বিএনপির ধানের শীষ পেয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ডা. মো. শফিকুর রহমান। এই আসনের অন্য প্রার্থীদের প্রতীক হলো- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির আহাম্মদ সাজেদুল হক (কাস্তে), বিকল্পধারা বাংলাদেশের এইচএম গোলাম রেজা (কুলা), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এসএম ইসলাম (টেলিভিশন), জাকের পার্টির মো. আব্দুল মান্নান মিয়া (গোলাপ ফুল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মো. শামসুল আলম চৌধুরী (বাঘ), জাতীয় পার্টির মো. শামসুল হক (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. হেমায়েতুল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম (কাঁঠাল)।
ঢাকা-১৬ আসনে রয়েছেন ৭ প্রার্থী। এখানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা। বিএনপির ধানের শীষ পেয়েছেন মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ হাসান। এই আসনের অন্য প্রার্থীদের প্রতীক হলো- জাকের পার্টির আলী আহম্মেদ (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নাঈমা খালেদ মনিকা (কোদাল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিদ্দিকুর রহমান (হাতপাখা), জাতীয় পার্টির মো. আমানত হোসেন (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. ফরিদ উদ্দিন শেখ (আম)।
ঢাকা-১৭-এও বিভিন্ন দলের প্রতীক পেয়েছেন ১০জন। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন আকবর হোসেন পাঠান (চিত্রনায়ক ফারুক)। ধানের শীষ পেয়েছেন বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ। এই আসনের অন্য প্রার্থীদের প্রতীক হলো- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (লাঙ্গল), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের আলী হায়দার (বাঘ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এসএম আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের এসএম আহসান হাবিব (মই), জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান (গোলাপ ফুল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিনুল হক তালুকদার (হাতপাখা), বিকল্পধারা বাংলাদেশের লে. কর্নেল ডা. অব. এ কে এম সাইফুর রশিদ (কুলা)। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ মার্কায় নির্বাচন করবেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
ঢাকা-১৮ আসনে মোট ৮জন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন সাহারা খাতুন। ধানের শীষে নির্বাচন করবেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির শহিদ উদ্দীন মাহমুদ। এই আসনের অন্য প্রার্থীদের প্রতীক হলো- ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মাসুম বিল্লাহ (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন (মোমবাতি), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মো. আতিকুর রহমান নাজিম (টেলিভিশন), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আনোয়ার হোসেন (হাতপাখা), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের মো. রফিকুল ইসলাম (বাঘ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন (হারিকেন)।